রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অর শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি। এবার এই লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসির চেয়ে বেশ পিছিয়েই ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত এক যুগে পুরস্কারটির লড়াইয়ে মেসি-রোনালদোরই আধিপত্য ছিল। এবার মেসির সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি ও চেলসির ইতালিয়ান তারকা জর্জিনহো।
ফুটবলারদের ব্যক্তিগত পুরস্কারের সবচেয়ে মর্যাদাকর এই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। প্রথমে ১৮০ জন নির্বাচিত সাংবাদিকের ভোটে ৩০ ফুটবলারের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর সেখান থেকে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক সেরা পাঁচ খেলোয়াড় নির্বাচন করেন। প্রত্যেক সাংবাদিক পাঁচজন খেলোয়াড়কে ক্রমানুসারে ভোট দিতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী তালিকার প্রথমে থাকা খেলোয়াড় ৬ পয়েন্ট পাবেন। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ফুটবলার পাবেন যথাক্রমে ৪, ৩, ২ ও ১ পয়েন্ট করে।
দ্বিতীয় ধাপের ৫০ বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকের একজন পর্তুগালের জোয়াকিম রিটার। রিটারের পাঁচ ভোটের একটিও পাননি স্বদেশি রোনালদো। তাঁর প্রথম ভোটটি পেয়েছেন লিভারপুলের এনগালো কান্তে। ১৮৬ পয়েন্ট নিয়ে কান্তে ব্যালন ডি’অরের তালিকায় রোনালদোর ঠিক ওপরে ছিলেন। রিটারের দ্বিতীয় ভোট পেয়েছেন ব্যালন ডি’অর তালিকার মেসির পরেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেভানডফস্কি। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ভোট পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, জর্জিনহো, মোহামেদ সালাহ।
এবারের ব্যালন ডি’অরে ১৭৮ পয়েন্ট নিয়ে রোনালদো ছিলেন তালিকায় সবার শেষে ষষ্ঠ স্থানে। ২০১০ সালের পর এটাই ব্যালন ডি’অরে রোনালদোর সবচেয়ে খারাপ অবস্থান।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে