আগা খান ফাউন্ডেশন প্রতিবছর উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। সাধারণত মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি পান। তবে পিএইচডি ডিগ্রির জন্যও আবেদন করা যায়। সংক্ষিপ্ত সময়ের কোনো কোর্সের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয় না।
অধ্যয়নের ক্ষেত্র
স্থাপত্য, স্বাস্থ্য, সুশীল সমাজ, প্ল্যানিং অ্যান্ড বিল্ডিং, সংস্কৃতি, গ্রামীণ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, হিউমেনিটেরিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স প্রভৃতি বিষয় বৃত্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়।
বৃত্তির পরিমাণ
সাধারণত আর্থিকভাবে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। তবে এই বৃত্তির ৫০ শতাংশ সরাসরি এবং বাকি ৫০ শতাংশ লোন ভিত্তিতে দেওয়া হয়। বৃত্তির জন্য একজন জামানতকারী (গ্যারান্টার) লাগে। শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ হওয়ার ৬ মাস পর থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ সুদে ৫ বছরের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হয়।
ফাউন্ডেশন শুধু শিক্ষার্থীর টিউশন ফি এবং জীবন যাপনের ব্যয় বহন করবে। ভ্রমণ খরচের জন্য আলাদা কোনো খরচ দেওয়া হবে না। পিএইচডির শিক্ষার্থীরা শুধু প্রথম দুই বছর বৃত্তির টাকা পাবেন। তারপর অন্য কোনো উৎস থেকে তাঁদের বৃত্তির টাকা সংগ্রহ করতে হবে।
যোগ্যতা
কয়েকটি দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরিকল্পনাকারী কাউকে বৃত্তি দেওয়া হবে না। এই দেশগুলোর বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই তালিকায় রয়েছেন। বয়সের ক্ষেত্রে কোনো শর্ত না থাকলেও ৩০ বছরের নিচের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। অসাধারণ ফলাফলের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে বিভিন্ন পুরস্কারজয়ী শিক্ষার্থীরাও বৃত্তির দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া
প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগা খান ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বৃত্তির আবেদনপত্র পাওয়া যায়। আবেদনের শেষ সময়সীমা হচ্ছে ৩১ মার্চ। তবে, দেশভেদে আবেদনের সময়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকে। বৃত্তির জন্য আবেদনকারীকে স্থানীয় বৃত্তি কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। নিজের আর্থিক অবস্থা, একাডেমিক ফলাফল, সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে। সাধারণত জুনের শেষে বা জুলাই মাসের শুরুতে বৃত্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। বিস্তারিত জানতে
আগা খান ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে