চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েও এক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার পর এবার জালিয়াতির মাধ্যমে ‘ডি’ ইউনিটে দুজন উত্তীর্ণ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন মেধা তালিকায় ৭৯ তম ও অপরজন ২৪৯ তম হয়েছেন।
বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়া এক ভর্তি-ইচ্ছুককে আটক করা পর তাঁর জবানবন্দিতে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।
জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার চলাকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা কামাল (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জানান তাঁর দুই বন্ধু আশিক ও ফরহাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন। ‘ডি’ ইউনিটে তাঁদের মেধাক্রম ছিল ৭৯ ও ২৪৯। তাঁরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন। একই মাধ্যমে চার লাখ টাকার চুক্তিতে তিনিও চান্স পেয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তাঁর পরীক্ষা অন্য কেউ দিয়েছে। সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। একই প্রক্রিয়ায় তাঁর দুই বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। আমাদের আইন কর্মকর্তা বিষয়টি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে জানিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘ডি’ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আগামীকাল খোঁজ খবর নিব।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে