চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেটের ১৫৯ বিঘা জমি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশ।
অভিযোগকারীর দাবি, মুতাওয়াল্লি ১১ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত একটি আমবাগান দখল করে ইজারা দিয়েছেন। আর ২৫ বিঘা জমি আত্মীয়স্বজনসহ কয়েকজনের নামে নামজারি করেছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় তাঁদের ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ।
আবু আহমেদ শামসুল আরেফিন নামের এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে মারা যান শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি নিজ নামে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেট। এরপর তাঁর সব সম্পদ এস্টেটের নামে হস্তান্তর করেন। তখন থেকেই মুতাওয়াল্লি নিয়োগ করে সব সম্পদ দেখাশোনা করা হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ওয়াক্ফ এস্টেট প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বাসিন্দা গোলাম মোর্শেদ মিয়াকে অবৈধভাবে মুতাওয়াল্লি নিয়োগ করে। এরপর থেকেই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত অংশীদারদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে নিজে ভোগদখলসহ অন্যের নামে জমির নামজারির মাধ্যমে ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ তছরুপ করে আসছেন। বাধা দিতে গেলে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক মামলা।
এস্টেটের ওয়ারিশ বৃদ্ধ নজরুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ওয়াক্ফ এস্টেটের মুতাওয়াল্লি হওয়ার আগে থেকেই গোলাম মোর্শেদের নজর পড়ে সম্পদের ওপর। এরপর থেকেই নানান কৌশলে তিনি বিপুল টাকার বিনিময়ে মুতাওয়াল্লি নিযুক্ত হন। সেই থেকে তিনি ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ তছরুপে মেতে ওঠেন। বর্তমানে তিনি ২৫ বিঘা জমি নিজ আত্মীয়স্বজন এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নামে নামজারি করেন। এই নামজারিগুলোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তরিকুল ইসলাম নামে আরেকজন ওয়ারিশ বলেন, ‘গোলাম মোর্শেদ মিয়া ১১ বিঘার একটি আমবাগান দখল করে ইজারা দিয়েছেন। সেই টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এই বাগান ইজারার একটি টাকাও অংশীদারদের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এমনকি বাগান ইজারার প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা ও হুমকি দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে পরপর চারটি মামলা করেন, যা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হলে খারিজ হয়ে যায়।’
কাউসার আলী নামের আরেকজন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে সব অংশীদার ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ সমবণ্টনের মাধ্যমে ভোগ করে আসছিলাম। কিন্তু গোলাম মোর্শেদ মুতাওয়াল্লি নিযুক্ত হওয়ার পর এক কেজি চাল কেনারও টাকা দেননি; বরং মামলা-হামলা করে এস্টেট থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করছেন। মামলার পরে আমাদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।’ তিনি এস্টেটের সব সম্পদ ফিরিয়ে দিতে এবং গোলাম মোর্শেদকে অপসারণ করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে গোলাম মোর্শেদের সঙ্গে বারবার দেখা করতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। তবে মুঠোফোনে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিয়মকানুন মেনেই ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা করছেন।’
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ তছরুপের কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে রাজস্ব বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেটের ১৫৯ বিঘা জমি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশ।
অভিযোগকারীর দাবি, মুতাওয়াল্লি ১১ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত একটি আমবাগান দখল করে ইজারা দিয়েছেন। আর ২৫ বিঘা জমি আত্মীয়স্বজনসহ কয়েকজনের নামে নামজারি করেছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় তাঁদের ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ।
আবু আহমেদ শামসুল আরেফিন নামের এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে মারা যান শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি নিজ নামে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেট। এরপর তাঁর সব সম্পদ এস্টেটের নামে হস্তান্তর করেন। তখন থেকেই মুতাওয়াল্লি নিয়োগ করে সব সম্পদ দেখাশোনা করা হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ওয়াক্ফ এস্টেট প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বাসিন্দা গোলাম মোর্শেদ মিয়াকে অবৈধভাবে মুতাওয়াল্লি নিয়োগ করে। এরপর থেকেই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত অংশীদারদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে নিজে ভোগদখলসহ অন্যের নামে জমির নামজারির মাধ্যমে ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ তছরুপ করে আসছেন। বাধা দিতে গেলে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক মামলা।
এস্টেটের ওয়ারিশ বৃদ্ধ নজরুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ওয়াক্ফ এস্টেটের মুতাওয়াল্লি হওয়ার আগে থেকেই গোলাম মোর্শেদের নজর পড়ে সম্পদের ওপর। এরপর থেকেই নানান কৌশলে তিনি বিপুল টাকার বিনিময়ে মুতাওয়াল্লি নিযুক্ত হন। সেই থেকে তিনি ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ তছরুপে মেতে ওঠেন। বর্তমানে তিনি ২৫ বিঘা জমি নিজ আত্মীয়স্বজন এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নামে নামজারি করেন। এই নামজারিগুলোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তরিকুল ইসলাম নামে আরেকজন ওয়ারিশ বলেন, ‘গোলাম মোর্শেদ মিয়া ১১ বিঘার একটি আমবাগান দখল করে ইজারা দিয়েছেন। সেই টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এই বাগান ইজারার একটি টাকাও অংশীদারদের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এমনকি বাগান ইজারার প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা ও হুমকি দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে পরপর চারটি মামলা করেন, যা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হলে খারিজ হয়ে যায়।’
কাউসার আলী নামের আরেকজন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে সব অংশীদার ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ সমবণ্টনের মাধ্যমে ভোগ করে আসছিলাম। কিন্তু গোলাম মোর্শেদ মুতাওয়াল্লি নিযুক্ত হওয়ার পর এক কেজি চাল কেনারও টাকা দেননি; বরং মামলা-হামলা করে এস্টেট থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করছেন। মামলার পরে আমাদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।’ তিনি এস্টেটের সব সম্পদ ফিরিয়ে দিতে এবং গোলাম মোর্শেদকে অপসারণ করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে গোলাম মোর্শেদের সঙ্গে বারবার দেখা করতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। তবে মুঠোফোনে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিয়মকানুন মেনেই ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা করছেন।’
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পদ তছরুপের কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে রাজস্ব বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।’

বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
৯ মিনিট আগে
বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।
২৭ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না।
৩১ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।
মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।
আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’
আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’
দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।
মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।
আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’
আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’
দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেটের ১৫৯ বিঘা জমি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশ।
২২ অক্টোবর ২০২৪
বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।
২৭ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না।
৩১ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেরাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর)

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডিএপি ও টিএসপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ন্যায্যমূল্যে সার না পেয়ে চাষিদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকের অভিযোগ, কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেটের কারণে তাঁদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।
বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ডিলারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় তাঁদেরও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। এতে চাষিদের ভোগান্তি বাড়ছে। প্রশাসনের তদারকি বাড়লে সংকট কমবে বলে তাঁরা মনে করেন।
কয়েকজন সাবডিলার জানান, চাহিদার তুলনায় ডিএপি ও টিএসপি সারের বরাদ্দ খুব কম। অনেক সময় বাইরে থেকে বেশি দামে সার আনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
করমদী গ্রামের কৃষক লাভলু হোসেন বলেন, ‘ডিএপি-টিএসপি না পেয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা দূর হবে না।’
তেরাইল মাঠের কৃষক উকিলুর রহমান জানান, ডিএপি-টিএসপি সাধারণত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে; তবু মিলছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, সিন্ডিকেট ভেঙে ন্যায্যমূল্যে সার নিশ্চিত করা হোক।’
বামন্দী মাঠের মারফত আলী বলেন, গম-ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের মৌসুমে ডিএপি-টিএসপি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সংকটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া যাবে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারের দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডিএপি ও টিএসপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ন্যায্যমূল্যে সার না পেয়ে চাষিদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকের অভিযোগ, কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেটের কারণে তাঁদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।
বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ডিলারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় তাঁদেরও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। এতে চাষিদের ভোগান্তি বাড়ছে। প্রশাসনের তদারকি বাড়লে সংকট কমবে বলে তাঁরা মনে করেন।
কয়েকজন সাবডিলার জানান, চাহিদার তুলনায় ডিএপি ও টিএসপি সারের বরাদ্দ খুব কম। অনেক সময় বাইরে থেকে বেশি দামে সার আনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
করমদী গ্রামের কৃষক লাভলু হোসেন বলেন, ‘ডিএপি-টিএসপি না পেয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা দূর হবে না।’
তেরাইল মাঠের কৃষক উকিলুর রহমান জানান, ডিএপি-টিএসপি সাধারণত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে; তবু মিলছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, সিন্ডিকেট ভেঙে ন্যায্যমূল্যে সার নিশ্চিত করা হোক।’
বামন্দী মাঠের মারফত আলী বলেন, গম-ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের মৌসুমে ডিএপি-টিএসপি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সংকটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া যাবে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারের দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেটের ১৫৯ বিঘা জমি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশ।
২২ অক্টোবর ২০২৪
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
৯ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না।
৩১ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না। তাঁর ভাষায়, ‘খালেদা জিয়া নিজেই চান নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হোক। সুস্থ হয়ে তিনি তাঁর তিনটি নির্বাচনী এলাকায় জিতবেন এবং আমাদের সবাইকে নিয়ে প্রচারণায় নামবেন।’
শনিবার রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ধানের শীষের সমর্থনে আয়োজিত কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু যাঁরা সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনৈতিক পদও ধরে রেখেছেন, তাঁদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন খোকন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন মানিক, সদস্যসচিব সৈয়দ মাহবুবে রেজা রাব্বীসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
পরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না। তাঁর ভাষায়, ‘খালেদা জিয়া নিজেই চান নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হোক। সুস্থ হয়ে তিনি তাঁর তিনটি নির্বাচনী এলাকায় জিতবেন এবং আমাদের সবাইকে নিয়ে প্রচারণায় নামবেন।’
শনিবার রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ধানের শীষের সমর্থনে আয়োজিত কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু যাঁরা সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনৈতিক পদও ধরে রেখেছেন, তাঁদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন খোকন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন মানিক, সদস্যসচিব সৈয়দ মাহবুবে রেজা রাব্বীসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
পরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেটের ১৫৯ বিঘা জমি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশ।
২২ অক্টোবর ২০২৪
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
৯ মিনিট আগে
বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।
২৭ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
গত কয়েক দিন ধরে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করা তাপমাত্রা শনিবার থেকে আরও কমে যায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
রোববার ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ে। হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনে দেখা যাচ্ছিল না। ফলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল ছিল কম। অনেকেই গরম কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হলেও অনেকে ঠাণ্ডায় ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
ঢাকা–পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের চালক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে এমন কুয়াশা পড়ে যে গাড়ির লাইটও ব্যাক করে আসে। রাস্তার লাইন দেখা যায় না। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গতি অর্ধেক কমিয়ে চালাতে হয়।’
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সর্দি–কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ চলছে।’

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
গত কয়েক দিন ধরে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করা তাপমাত্রা শনিবার থেকে আরও কমে যায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
রোববার ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ে। হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনে দেখা যাচ্ছিল না। ফলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল ছিল কম। অনেকেই গরম কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হলেও অনেকে ঠাণ্ডায় ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
ঢাকা–পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের চালক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে এমন কুয়াশা পড়ে যে গাড়ির লাইটও ব্যাক করে আসে। রাস্তার লাইন দেখা যায় না। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গতি অর্ধেক কমিয়ে চালাতে হয়।’
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সর্দি–কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ চলছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়াজ উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেটের ১৫৯ বিঘা জমি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে মুতাওয়াল্লি গোলাম মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সুবিধাভোগী ওয়ারিশ।
২২ অক্টোবর ২০২৪
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
৯ মিনিট আগে
বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।
২৭ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না।
৩১ মিনিট আগে