রাঙামাটিতে আজ সোমবার ইউপিডিএফের ডাকে আধা বেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত হয়েছে। লংগদুতে ইউপিডিএফের এক সদস্য ও এক সমর্থককে (গ্রামবাসী) গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ইউপিডিএফ জেলায় এই অর্ধদিবস (ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত) সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।
অবরোধে রাঙামাটির সঙ্গে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ ছিল। সকালে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলো আটকা পড়ে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাপছড়ি খামারপাড়া এলাকায়। ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত টায়ার ও লাকড়ি জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন ইউপিডিএফের পিকেটাররা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পিকেটারদের শান্ত করে অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এ ছাড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি জেলা আঞ্চলিক মহাসড়কে কতুকছড়ি, বগাছড়ি, ঘিলাছড়ি, আবাসিক এলাকা, সাজেক পর্যটন রোডের বিভিন্ন এলাকায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পিকেটাররা।
রোববার এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ সদস্যসহ দুজনকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে খুনের রাজনীতি বন্ধে সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণপূর্বক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।
এর আগে ইউপিডিএফের দুই কর্মী-সমর্থক নিহতের পর ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা সমন্বয়ক সচল চাকমা বলেন, ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ইউপিডিএফের চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস রাঙামাটি শাখার সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা বলেন, জেএসএস কোনো সশস্ত্র দল নয়। ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড় হাড়িকাবা এলাকায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফের কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলে নিহত হন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে