ভরা মৌসুমে গুদামগুলো ধান-চালে ঠাসা থাকার কথা। অথচ চট্টগ্রামের সরকারি গুদামগুলোতে মজুত তলানিতে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রায় সব উপজেলাতেই একই অবস্থা।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে পাওয়া নথিতে দেখা যায়, চট্টগ্রামের হালিশহর ও দেওয়ানহাট সিএসডিতে (সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো) চালের মজুত থাকার কথা ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৫২ টন। অথচ বর্তমানে (৩ এপ্রিল পর্যন্ত) রয়েছে মাত্র ৩৮ হাজার ৫১০ টন। মজুতের এ হালকে স্মরণকালের সর্বনিম্ন পর্যায় বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য কর্মকর্তারা।
তথ্যমতে, খাদ্য অধিদপ্তরের অধীন চট্টগ্রামের হালিশহর সিএসডিতে ১২৬টি গুদাম রয়েছে। এসব গুদামের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ১০ হাজার ৬৫২ টন। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই গুদামে চাল মজুত ছিল ২৭ হাজার ৮৮৪ টন।
এসব গুদামে সরকারি আমদানি, সংগ্রহের ধান-চাল মজুত থাকে। এখান থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব ধরনের সরকারি ত্রাণ, টিআর, জিআর, ভিজিএফ, কাবিখা, ওএমএস, টিসিবি, বিভিন্ন বাহিনীর রেশন বিতরণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির চাল সরবরাহ করা হয়। এখান থেকে গত মার্চ মাসেই বিতরণ হয়েছে ১৭ হাজার ৭৬০ টন চাল।
হালিশহর সিএসডির ব্যবস্থাপক থোয়াই মংপ্রু মারমা চালের মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে আসার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চালের বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে সামান্য পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।’
দেওয়ানহাট সিএসডিতেও চালের মজুত কমে এসেছে। ৫১ হাজার টন ধারণক্ষমতার এ সিএসডিতে ৬৭টি গুদাম রয়েছে। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত চাল মজুত ছিল মাত্র ১০ হাজার ৬২৬ টন। এখান থেকে গত মার্চ মাসে চাল বিতরণ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৮২ টন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক মাসের বেশি চালের মজুত নেই।
বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম কায়সার আলী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি সহকারী পরিচালক দোলন দেবের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সহকারী নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর দপ্তরে গেলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে বা কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে