বান্দরবানের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে ট্যুরিস্ট খাতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক। আজ শনিবার সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের নতুন আশুলিয়া জোনের উদ্বোধনী আয়োজনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ট্যুরিস্ট খাতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না, এসব অঞ্চলে-এলাকায় আমাদের যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।’
ডিআইজি আরও বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় আমাদের যৌথ বাহিনী অপারেশন করছে। এ ছাড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এতে পুলিশ পয়েন্টেও কোনো রকম ইফেক্ট পড়বে না। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনার কোনো ধরনের প্রভাব বাংলাদেশের ট্যুরিস্ট খাতে পড়বে না। আগামী পয়লা বৈশাখে আমাদের সকল পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পয়লা বৈশাখেও আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আশুলিয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের সাব অফিসের কার্যক্রম শুরু হলো। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকায় বেশ কিছু বিনোদন পার্কসহ হোটেল স্পট আছে। আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ এই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। এই নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে ১২৫টি পুলিশ পয়েন্টের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান করে আসছি।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু সামনে পয়লা বৈশাখ, আমাদের বড় ফেস্টিভ্যাল। এই অনুপাতে আমরা কিন্তু নিরাপত্তা প্ল্যান করেছি। এই প্ল্যানেই সবাইকে সহযোগিতা প্রদান করব। পাশাপাশি যারা বিনোদনকেন্দ্রে আসবে, তারা যেন কোনো রকম হয়রানির শিকার না হয়, এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক থাকবে। তারপরও যদি পর্যটকদের সঙ্গে কোনো কিছু হয়, তাহলে আমাদের জরুরি সেবা নম্বর আছে, কল করে জানালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিআইজি আবু সুফিয়ান, ঢাকা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক, ঢাকা জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল ও মিডিয়া) মো. বদরুল আলম মোল্লা, ঢাকা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামেনা আক্তার ও আশুলিয়া জোনের ইনচার্জ মো. মনিরুল হক ডাবলু।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে