রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সেকশন

 

মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষক হলেও এখনো স্বীকৃতি পাননি ফজলুল হক

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:২৯

ফজলুল হক পানিপিয়া ইয়ুথ ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ফজলুল হক। এ বিষয়ে ক্যাম্পের প্রশাসক ক্যাপ্টেন আর কে শর্মা এবং ইনচার্জ মো. মুহসীন স্বাক্ষরিত তাঁর সনদপত্র রয়েছে। স্বাধীনতার পর মিলিশিয়া ক্যাম্পে যোগ দিয়ে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর সই করা সনদপত্রও পেয়েছেন। ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায়ও নাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু এখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পাননি তিনি।

রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ আমবাগান মহল্লায় রেললাইনের পাশে ছোট এক বাড়িতে বাস করেন ফজলুল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে আবাসিক হল বন্ধ হয়ে গেলে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুরের বাড়ি ফিরে যান। এরপর যুদ্ধে অংশ নিতে সীমান্ত পেরিয়ে যান ভারতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিটারি সায়েন্স অ্যান্ড হিস্ট্রি পড়ার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেক যুবককে তিনি প্রশিক্ষণ দেন। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, কিন্তু স্বীকৃতি পাননি তিনি। আদৌ স্বীকৃতি পাবেন কি না, তা জানেন না ৭৪ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।

সম্প্রতি আলাপকালে ফজলুল জানান, তিনি ১৯৭৫ সালে অগ্রণী ব্যাংকে যোগ দেন এবং ২০০৩ সালে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালের দিকে প্রথম যখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা শুরু হয়, তখন তিনি জানতেই পারেননি। দ্বিতীয় দফায় তিনি আবেদন করেন কিন্তু তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পরে চট্টগ্রামে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকার কারণে আর এগোতে পারেননি। অবসরের পর তালিকাভুক্ত হতে কয়েক দফা আবেদন করেছেন। সবশেষ ২০১৭ সালে তাঁর ছেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ২০২২ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে আরেক দফা মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠান, কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি এখনো তাঁর কাগজপত্র নিয়ে এর-ওর কাছে ঘুরে বেড়ান।

ফজলুল বলেন, ‘সব জায়গায় আমার নাম আছে। আমার কাছে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। তাঁরা খোঁজ নেন, সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমি এখনো তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারিনি। অবসর জীবনে আমি এখন চরম আর্থিক সংকটে আছি। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা পেলে পরিবার উপকৃত হবে। মৃত্যুর আগে আমি এই স্বীকৃতি পাব কি না, তা জানি না। এটাই আমার জীবনের শেষ চাওয়া।’

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     

    ভাষাসৈনিক মজিবর মাস্টার মারা গেছেন

    পুকুরে কিশোরের লাশ, চোখ-গলায় আঘাতের চিহ্ন

    শেরপুরে বজ্রপাতে নিহত ২

    রাজশাহী নগর আ.লীগ নেতা ডাবলু ৫ দিনের রিমান্ডে

    চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৭ ককটেল উদ্ধার

    বাবা-ছেলের দখল-বাণিজ্য, দলীয় নেতারাও আক্রান্ত

    পানির নিচে দুই শতাধিক গ্রাম

    ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সমান্তরালে চলবে’

    রিটেইল স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ড পেল ‘ফুডি’

    মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি 

    ৫-৭ আগস্টের মধ্যেই পালিয়েছেন বিগত সরকারের লোকেরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২