শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

সেকশন

 

পশ্চিমতীরে ৪ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা 

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৭

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ছবি: এএফপি  পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত চার ‘উগ্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীর’ ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রও একই পদক্ষেপ নিয়েছিল। 

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বসতি স্থাপনাকারীদের সহিংসতা বন্ধে ইসরায়েলেরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভিযুক্তদের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি জব্দ করা হবে এবং তাঁদের ভ্রমণ ও ভিসা নিষিদ্ধ করা হবে।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এতে তাঁদের মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের ওপর ও ভিসায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোনো মার্কিন নাগরিক তাঁদের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দখলকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি শান্তিরক্ষী কর্মীদের ওপর হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। এই বসতি স্থাপনকারীরা সহিংসতার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের সম্পত্তি ধ্বংস এবং দখলের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন।

আজ সোমবার বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য গত এক বছরে পশ্চিমতীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি ও আউটপোস্টের কিছু বাসিন্দার কর্মকাণ্ডকে ‘চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের অভূতপূর্ব মাত্রার সহিংসতা’ বলে অভিহিত করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে লন্ডন ও ওয়াশিংটনের বিরল পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করছে এই নিষেধাজ্ঞা। 

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমর্থন আন্তর্জাতিক মহলে বেশ সমালোচিত হয়েছে। এ ছাড়া দেশগুলোর জনগণের একাংশ এ সমর্থনকে তিরস্কার করেছেন। 

ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘আমরা প্রায়ই নানা প্রতিশ্রুতি এবং পদক্ষেপের আশ্বাস দেখি, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয় না। উগ্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের বন্দুকের নলের মুখে হুমকি দিচ্ছেন এবং আইনগতভাবে তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করছেন। এ ধরনের আচরণ অবৈধ এবং গ্রহণযোগ্য নয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে এবং তাঁদের ওপর হামলা করে উগ্র বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছেন।’ 

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি মোশে শারভিত ও ইনোন লেভি সম্প্রতি কয়েক মাসে শারীরিক আক্রমণ, পরিবারগুলোকে বন্দুকের নলের মুখে হুমকি ও সম্পত্তি ধ্বংস করেছেন। অভিযুক্তদের এই তৎপরতা ‘ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত প্রচেষ্টার অংশ’। 

লন্ডন জাভি বার ইউসেফকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। তিনি ২০১৮ সালে পশ্চিম তীরে একটি অবৈধ ফাঁড়ি স্থাপন করেছিলেন যা স্থানীয় ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা ‘পদ্ধতিগত ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার উৎস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 

নিষিদ্ধ চতুর্থ ব্যক্তি হলেন এলি ফেডারম্যান। এলি সাউথ হেবরন হিলসে ফিলিস্তিনি রাখালদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

এই চারজনের মধ্যে একমাত্র লেভিই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশেই নিষিদ্ধ।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     

    মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্রদের কী ‘গোপন সতর্কবার্তা’ দিল ইরান 

    পুতিনকে কোভিড পরীক্ষার মেশিন দিয়েছিলেন ট্রাম্প, নিশ্চিত করল রাশিয়া

    ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় মিলটনের তাণ্ডবে নিহত ১০, বিদ্যুৎহীন ৩২ লাখ পরিবার 

    ইরানে হামলা করা থেকে ইসরায়েলকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে উপসাগরীয় দেশগুলোর অনুরোধ

    ইরানে হামলার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল 

    ৫০ হাজার কোটি টাকায় আরও দুটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন বানাচ্ছে ভারত 

    সাক্ষাৎকার

    ‘কেউ বাধ্য না করলে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরসহ ২৫ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা, গ্রেপ্তার ২

    নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজের উত্থান দেখতে চাই না: আতিকুর রহমান

    গাইবান্ধায় চালককে হত্যা করে অটো ভ্যান ছিনতাই

    দুর্গাপূজায় অন্তর্বর্তী সরকারই সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

    শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের নিহন হিদাঙ্কিও