মা সিনেমায় যুক্ত হওয়ার গল্প?
পরিচালক অরণ্য আনোয়ার যখন আমাকে চিত্রনাট্যটি দেন, তখন গল্পটি দেখে আমার মনে হয়ছিল গল্পটা বর্তমান সময়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আমার কাছে তখন মনে হয়েছে গল্পটির যে ইমোশন, তা দর্শকদের কাছে পৌঁছানো উচিত। কিন্তু তখন বেশ কিছু প্রজেক্টে আমার বেশ ব্যস্ততা ছিল, এ ছাড়া আমি তখন সদ্য বাবা হয়েছিলাম। তখন একটা কনফিউশনে পড়ে যাই। কিন্তু গল্পটি যেহেতু আমার ভালো লেগেছে, তখন চিন্তা করলাম আমি না করলেও গল্পটা কেউ না কেউ তো করবে। তাই আমি সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক ভালো। সহশিল্পী হিসেবে পরীমণির সঙ্গে প্রথম পর্দা ভাগ ছাড়াও আবুল কালাম আজাদ ভাই, শাহাদাত হোসেন ভাই, সাজু খাদেম ভাইয়ের মতো অভিজ্ঞ অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করা মানে যেকোনো কাজ সহজ হয়ে যাওয়া। আর প্রতিটি কাজে তো অভিনেতা হিসেবে একটা প্রস্তুতি আমার থাকে। কিন্তু আমি সদ্য বাবা হওয়ায় ইমোশনের জায়গাগুলো মনে হয়েছে ভেতর থেকেই এসেছে। আর পরিচালক অরণ্য ভাই যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন শুটিংয়ে। যথেষ্ট স্বাধীনতা আমি পেয়েছি।
সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
প্রতিটি সিনেমা নিয়েই সব অভিনেতার প্রত্যাশা থাকে। আর গল্পটি যেহেতু মা নিয়ে, তাই প্রতিটি পরতে ইমোশন ছিল। গল্পটার পটভূমি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ, তাই এখানে দেশমাতৃকার প্রতিও ইমোশনটা ফুটে উঠেছে। আশা করি দর্শকদের সিনেমাটি ভালো লাগবে।
সহশিল্পী হিসেবে পরীমণি কেমন ছিলেন?
সহশিল্পী হিসেবে পরীমণি দুর্দান্ত। শুটিংয়ে উনি যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। প্রথম দুই দিনের অভিজ্ঞতা টেনে যদি বলি, ওনার সঙ্গে যেহেতু আগে কাজ হয়নি তাই আমি বেশ অস্বস্তি ফিল করছিলাম। কিন্তু উনি সুন্দরভাবে বিষয়টা হ্যান্ডেল করে আমার জন্য কাজটি সহজ করে দিয়েছিলেন।
সিনেমাটিতে আপনার চরিত্রটি কেমন ছিল?
আমার চরিত্রের নাম মৃণাল কান্তি বড়ুয়া। আর আমি গল্পটিতে একজন বাবা চরিত্রে অভিনয় করেছি।
মা সিনেমার প্রিমিয়ার কানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একজন অভিনেতা হিসেবে অনুভূতি?
মফস্বল থেকে উঠে একজন অভিনেতার সিনেমা যখন কানের মতো বড় জায়গায় প্রদর্শিত হয়, তখন এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
বর্তমান ব্যস্ততা?
পরিচালক অনম বিশ্বাসের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘ফুটবল একাত্তর’ সিনেমার কাজ শেষ করলাম। এ ছাড়া ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কিছু কাজ আসছে সামনে। এ ছাড়া নতুন কিছু প্রজেক্টের কথা চলছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে