কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি এলাকায় তানজিল শেখ (১৮) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি ওবায়দুল শেখ ইমনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাতে খুলনা রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফেসবুকে ছবি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বন্ধু তানজিলকে হত্যা করা হয় বলে র্যাবকে জানিয়েছেন ইমন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
নিহত তানজিল শেখ কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ওয়াশী গ্রামের মনিরুল শেখের ছেলে। তিনি পান্টি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রেপ্তার ওবায়দুল শেখ ইমন একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ইলিয়াস খান জানান, ইমনের ধূমপান করা অবস্থার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে গত শনিবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় পান্টি স্কুলমাঠে তানজিল ও তাঁর বন্ধু ইমনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে ইমন পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তানজিলকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গত সোমবার নিহতের বাবা বাদী হয়ে দুজনের নামসহ আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তানজিলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন ইমন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে