যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় বেত্রাবতী নদী ভরাট করে খেলার মাঠ তৈরি করা হচ্ছে। হাজিরবাগ ইউনিয়নের মুকুন্দপুর পশ্চিমপাড়ায় এ কার্যক্রম চলছে। ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না এলাকাবাসী।
গতকাল গিয়ে দেখা গেছে, বেত্রাবতী নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। ২৩ মার্চ থেকে এ কার্যক্রম চলছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শিপন হোসেনের নেতৃত্বে রিপন হোসেন, খাইরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মাহাবুর, আজিজুর রহমান, রায়হান হোসেন এ নদী ভরাটের কাজ করছেন। তবে তাঁরা রাতের আঁধারে এ কাজ করছেন। এমনকি নদীর মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মুকুন্দপুর পশ্চিমপাড়ার আব্বাস আলী বলেন, ‘এই ঘাটে নৌকা ভিড়তে দেখেছি। আস্তে আস্তে দখল হতে হতে এখন দেখছি খেলার মাঠ তৈরি হচ্ছে। এভাবে নদীর নামই হারিয়ে যাবে।’
এর আগে ২০ মার্চ ওই স্থানে থাকা বিচালি গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গাদার মালিক মুকুন্দপুর পশ্চিমপাড়ার রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী সোনালী খাতুন বলেন, ‘নদীর পাড়ে আমাদের ২ লাখ টাকার বিচালি গাদা ছিল। ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ পেয়ে কিছু বিক্রি করেছিলাম। তবে বাকি বিচালি ২০ মার্চ রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।’
হাজিরবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, এটি নদীর জায়গা নয়, আড়াই বিঘা খাস জায়গা। পরে নদী থেকে মাটি কেটে ভরাট করা হচ্ছে। এটি খেলার মাঠ ও ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ত্রাণ) শুভাগত বিশ্বাস বলেন, মুকুন্দপুর বেত্রাবতী নদীর ধারে ফুটবল খেলার মাঠ সংস্কার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিল পাস হয়েছে, তবে বরাদ্দ ছাড় হয়নি।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক বলেন, নদী জীবন্ত সত্তা। নদী ভরাট করে খেলার মাঠ অথবা ঈদগাহ তৈরি করার সুযোগ নেই।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে