দাপুটে জয়ে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল। কিন্তু ম্যাচ শেষে লিটন দাস সংবাদ সম্মেলনে আসলেন, তাঁর চেহারায় যেন মন খারাপের ছাপ। সংবাদ সম্মেলন বড় করলেন না, তবে এর মধ্যেই মন খারাপের একটি কারণ অন্তত বলে গেলেন এ ওপেনার। অনুমেয় কারণটা হলো, সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ লিটনের মনে।
রেকর্ডের কথা কখনো লিটনের মাথায় থাকে না। গতকাল ১৮ বলে ফিফটি করলেন, কখন যে রেকর্ড হলো তাও তিনি জানেন না। লিটন বললেন, ‘দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড, খুব ভালো লাগছে। আমি আগে থেকে জানতাম না। আমি সাক্ষাৎকারে সব সময় বলি কখনো রেকর্ড নিয়ে চিন্তা করি না।’
৪১ বলে ৮৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে লেগ স্পিনার বেন হোয়াইটের শিকার হন লিটন। ৫০ করতে যেখানে লেগেছে তাঁর ১৮ বল, পরের ৩৩ রানের করতে খেলেছেন ২৩ বল। ৭০ এর পরে ব্যাটে-বলে টাইমিং মিলছিল না। একটু দেখে-শুনে খেললেই বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিও পেয়ে যেতেন। কিন্তু ওই সময় ঠিক কী হয়েছিল, এ ব্যাপারে লিটন দোষ নিজেকেই দিলেন, ‘তাড়াহুড়ো করছিলাম তাই আউট হয়ে গেছি। মাঝখানে স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছিল। উইকেট থেকে সহায়তা পাচ্ছিল। যদি আরেকটু সময় নিয়ে খেলতাম ৮৩ স্কোরটা ১০০-ও হতে পারত। ফিফটি ভালো লাগছে, তবে ১০০ হলে বেশি ভালো লাগত।’
রনি তালুকদারকে নিয়ে পাঁচ ম্যাচে ওপেনিং জুটি বেঁধেছেন লিটন। সবগুলো ম্যাচেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই তিন ম্যাচেই ৫০ এর ওপরে রান তুলেছেন তাঁরা। গতকাল ৫৬ বলে গড়েছেন ১২৪ রানের জুটি। যা বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। রনির সঙ্গে জুটি বেশ উপভোগ করছেন লিটন, ‘ভালো খেলছি, দেখা যাক এ জুটি কত দূর যেতে পারি। ওপেনিংয়ে এটাই মনে হয় সর্বোচ্চ জুটি। এর থেকে আর ভালো কিছু হতেই পারে না। আবার প্রতি ম্যাচেও এ সাফল্য পাওয়া যাবে না। (মাঠে) যাব আর দুজনে মার শুরু করব। স্ট্রাগলের (সংগ্রামের) সময় আসবে। ব্যাটিং করে বেশ মজা পাচ্ছি ওর (রনি) সঙ্গে।’ দাপুটে জয় তৃপ্ত লিটন যোগ করেন, ‘জেতার জন্যই তো আমরা মাঠে নামি। আমার যে চিন্তাভাবনা করেছিলাম, যেভাবে খেলতে চেষ্টা করছিলাম, টি-টোয়েন্টির আদর্শ ক্রিকেট। আমার মনে হয় শেষ দুই ম্যাচ আমরা ভালোই খেলেছি। প্রতিদিন পাওয়ার প্লেতে ৭০–৮০ ও করতে পারবেন না।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে