শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

সেকশন

 

ইফতারির বাজার

হল চত্বরের রকমারি ইফতারি

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৯

রমজানের শুরু থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জমে উঠেছে ইফতারির দোকান। হল চত্বরে বিক্রি হচ্ছে বাহারি ইফতারি। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জসীমউদ্‌দীন হল এলাকায়।ছবি: আজকের পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীমউদ্‌দীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের মিলনস্থলের নাম হল চত্বর। এর পাশেই আছে আয়তনে বেশ বড় মাস্টারদা সূর্য সেন হল। জমজমাট এই এলাকাকে অনেকেইহল পাড়া নামে চেনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে এটি একটি। রমজান মাস এলে ইফতারসামগ্রী বিক্রির ধুম পড়ে যায় এখানে। দূরদূরান্ত থেকে যেমন পুরান ঢাকার বিখ্যাত চকবাজারের ইফতারি কিনতে যান লোকজন, হল পাড়াতেও তেমনি বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন ইফতারি কিনতে।

দুপুরের গড়িয়ে বিকেল হতে থাকে। ধীরে ধীরে বসতে থাকে বিভিন্ন ফলের দোকান। বসে ছোলা, মুড়ি, জিলাপি, বুন্দিয়া, পেঁয়াজু, খিচুড়ি, শরবত, কাবাব থেকে শুরু করে মুখরোচক সব খাবারের দোকান। এই হল পাড়ায় সারি সারি ফল আর খাবারদাবারের দোকান দেখলে পুরান ঢাকার কোনো গলি বলে ভ্রম হয়।

এখানে ইফতারি কিনতে এসেছেন বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান। তিনি জানালেন, হল পাড়ায় সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। পুরো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিভিন্ন রুচির শিক্ষার্থীরা এখানে এসে জড়ো হন। তাঁদের রয়েছে বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাস। এ ধরনের প্রয়োজন পূরণের যাবতীয় আয়োজন রয়েছে হল পাড়ায়।

হল পাড়ায় ভ্রাম্যমাণ দোকানে ছোলা ও পেঁয়াজু বিক্রি করেন মোহাম্মদ শরীফ। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ দোকানি শরীফ জানান, এখানে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করে লাভ খারাপ হচ্ছে না। রোজা কেবল শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরও ভালো হবে বলে তাঁর আশা। শরীফ একটু অন্য রকম মানুষ মনে হয়। কথায় কথায় আরও জানালেন, শিক্ষার্থীদের আবদার পূরণ করার মধ্যে অন্য রকম আনন্দ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছোলা-পেঁয়াজু বিক্রি করে সেই আনন্দ পাচ্ছেন তিনি!

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিচিত্র মানুষের বসবাস। কেউ এসেছেন উত্তরবঙ্গ থেকে তো কেউ সুন্দরবনের কোল থেকে; আবার কেউ এসেছেন পাহাড় থেকে। ফলে খাদ্যরুচির এক দারুণ সমন্বয় করতে হয় এখানকার দোকানিদের। চট্টগ্রাম থেকে পড়তে আসা আ হা মু জিয়াউল হকের সঙ্গে ইফতারি নিয়ে কথা হয়। তিনি জানান, চট্টগ্রামের মানুষ ইফতারে যথেষ্ট ভাজাপোড়া খায়। হল পাড়াতেও চট্টগ্রামের মতো ইফতারি কিনতে পাওয়া যায়। ফলে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।

আবার বন্ধুবান্ধব বিভিন্ন জায়গা থেকে ইফতারি কিনে আনছেন। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই কাটছে সময়। তবে এখনো প্রায় পুরো মাস পড়ে আছে বলে সবার খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে একটু বাড়তি সতর্কতা।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    পঠিতসর্বশেষ

    এলাকার খবর

     
     
    ভোটের মাঠে

    জামালপুর-৩: তিন দলে নিরুত্তাপের আভাস

    ৫২ কোটি খরচ হলেও সংকেত নেই বাতির

    সচিবালয়ে এক ভবনেই ২৪০০ টন এসি

    বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়: শাখা ক্যাম্পাসের শুরুতে গলদ

    আইনশৃঙ্খলা সভায় অংশ নিতে অনীহা

    সুব্রত, জিসানসহ ২১ জনের তথ্য চেয়েছে ইন্টারপোল

    নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি নবজাতক বিক্রি কুষ্টিয়ায়, পরে উদ্ধার

    শ্যামপুর থেকে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আটক

    সিটি নির্বাচন

    রাজশাহীতে কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

    খুলনা সিটি নির্বাচন: আ.লীগের বিরুদ্ধে মধুর অভিযোগ মুখে মুখে, বলছে প্রতিপক্ষরা 

    ইন্টারনেট ব্যবহারই ৮৬ শতাংশ তরুণ শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যার কারণ: সমীক্ষা

    ভাত দেওয়ার নাম নাই, কিল মারার গোঁসাই: পরিকল্পনামন্ত্রী