রাজশাহীর বাঘায় মসজিদে মোবাইলে ফোনে কথা বলা নিয়ে মারামারির ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার উপজেলার বাজুবাঘা নতুন পাড়া জামে মসজিদে তারাবিহর নামাজ শেষে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের ভেতরে মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তি কথা বলছিলেন। এ কথা বলা সহ্য করতে না পেরে বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহাবাজ আলী ওই ব্যক্তিকে গালিগালাজ করেন। পরে ওই ব্যক্তিকে গালিগালাজ করায় ক্ষুব্ধ হন একই গ্রামের সাজেদুল ইসলাম। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে গালমন্দ হয়। পরে মসজিদের মুসল্লিরা তাৎক্ষণিক ফয়সালা করে দেন।
ওই দিন রাতে সাজেদুল ইসলাম ও তার ছেলে বায়েজিদ ইসলাম তারাবিহর নামাজ পড়তে মসজিদে আসেন। তারাবিহর নামাজ শেষে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সাহাবাজ আলীসহ ৫-৬ জনের একটি দল তাঁদের মারধর করে।
পরদিন শনিবার সাহাবাজ আলীকেও মারধর করা হয়। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ও আমার ছেলে মসজিদে তারাবিহর নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের মারধর করা হয়।’
সাহাবাজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমাকেও তাঁরা অপমান অপদস্থ করে মারধর করেছে। তাদের মারধরে আমিও আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি।’
এ বিষয়ে বাজুবাঘা নতুনপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের উভয়ের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে