পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গাড়িচালক সম্রাট হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সীমা খাতুনের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পাবনার আমলি আদালত-২-এর বিচারক শামসুজ্জামান এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তহিদ হোসেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমা খাতুনকে আজ আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজই তাঁকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। দুদিন পর আগামী মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
সীমা খাতুন সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিনের স্ত্রী। তাঁর বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আব্দুল মমিন। নিহত সম্রাটের বাড়ি একই উপজেলা মধ্য অরনকোলা আলহাজ ক্যাম্প এলাকায়।
গত শনিবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী থানায় সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিন ও তাঁর স্ত্রী সীমা খাতুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়। গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্রাটের বন্ধুর স্ত্রী সীমা খাতুনকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। মামলার পর তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে শনিবার সকালে পাবনার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি গাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটির ভেতর থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
এ নিয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, সম্রাট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরডিবি নামে একটি যানবাহন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গাড়িটি ওই প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নিকিমত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউরি ফেদারোপ ব্যবহার করতেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে