শাহরুখ খানের ‘পাঠান’-এর পর বলিউডের বক্স অফিসে রাজত্ব করতে আসছে আরও এক অ্যাকশন সিনেমা। নাম ‘ভোলা’। বানিয়েছেন অজয় দেবগন। ‘ভোলা’ অজয় পরিচালিত চার নম্বর সিনেমা। এর আগে তিনি বানিয়েছেন ‘ইউ মি অর হাম’ (২০০৮), ‘শিবায়’ (২০১৬) ও ‘রানওয়ে ৩৪’ (২০২২)। আগের তিনটি সিনেমা মৌলিক গল্পে বানালেও চতুর্থ প্রজেক্টে এসে রিমেকের আশ্রয় নিয়েছেন অজয়। তামিল সিনেমা ‘কাইথি’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এটি।
তবে রিমেক হলেও গল্পটি নিজের মতো করে গড়ে নিয়েছেন অজয়। আগাগোড়া অ্যাকশনে মোড়া কাইথিকে মুড়ে দিয়েছেন আরও অ্যাকশনে। যুক্ত করেছেন ৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি বাইক ও ট্র্যাকের অ্যাকশন সিকোয়েন্স। হাই স্পিড স্ট্যান্ট, জাম্প, চেজ—সব মিলিয়ে ৩ মাসের পরিকল্পনা ও রিহার্সাল শেষে ওই দৃশ্যের জন্য ১১ দিনের শুটিং করেছেন অজয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যটির একঝলক প্রকাশ করে তিনি দাবি করেছেন, কোনো ভারতীয় সিনেমায় এর আগে এত ভয়ংকর অ্যাকশন দৃশ্য দেখা যায়নি।
‘ভোলা’ সিনেমাটি অজয় উৎসর্গ করেছেন তাঁর বাবা ভিরু দেবগনকে। ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক ছিলেন ভিরু। ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে অজয় শিখেছেন অ্যাকশন দৃশ্যের যাবতীয় কৌশল। সেসবই এ সিনেমায় প্রয়োগ করেছেন তিনি। তবে শুধু অ্যাকশনকে সম্বল করে সিনেমাটি বানাননি অজয়, সঙ্গে আছে আবেগের মিশেল। অজয় বলেন, ‘দর্শক সেই সিনেমাই পছন্দ করেন, যার মূলে আবেগ জড়িয়ে থাকে। অকারণ অ্যাকশন দৃশ্যে কোনো মজা নেই।’
সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় ভোলা। কিন্তু পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ ও ড্রাগ মাফিয়ারা। তাদেরকে পেরিয়ে কীভাবে ভোলা পৌঁছাবে তার মেয়ের কাছে, সেটাই ‘ভোলা’র স্টোরিলাইন। অজয়ের বেশির ভাগ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে টাবুকে দেখা যায়, এটাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টাবু অভিনয় করেছেন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে। তাঁকেও দেখা যাবে ভয়ংকর সব অ্যাকশন দৃশ্যে। ৩০ মার্চ থ্রিডি ভার্সনে মুক্তি পাবে ‘ভোলা’।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে