দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্যপ্রযুক্তিকে নারীমুক্তি ও জেন্ডার সমতার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। উন্নয়নকে টেকসই করতে নারীসমাজকে সঙ্গে নিয়েই উন্নয়নের ধারায় অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার বেলা তিনটায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা অর্জনে তথ্য ও প্রযুক্তির ভূমিকা’ বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
আয়োজনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বর্তমানে দেশে ৫২ দশমিক ৫৮ মিলিয়নেরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং তাদের বেশির ভাগই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। একই সঙ্গে দেশে ডিজিটাল অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও বাড়ছে। নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য ডিজিটাল বিশ্বকে নারী-পুরুষ সবার জন্য নিরাপদ, সহজলভ্য, সৃজনশীল, সহনশীল এবং মানবিক করে গড়ে তুলতে কয়েকটি সুপারিশ উপস্থাপন করা হয় এ সভায়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস এবং মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদসহ আরও অনেকে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর আন্দোলনের মূল কেন্দ্র নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে যে অমিত সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, তাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে