বরাবরের মতো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জঙ্গি, মাদকসহ সাধারণ মানুষের যেকোনো নিরাপত্তাজনিত কাজে পাশে থাকবে। স্মার্ট ফোর্স হিসেবে র্যাবকে গড়ে তোলা হবে। এই এলিট ফোর্সের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এমনই আশাবাদ বাহিনীর মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনের। গত বৃহস্পতিবার সদর দপ্তরে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি তো মনে করি র্যাব সফল। যেকোনো সমস্যায় মানুষ র্যাবের কাছে আসে। র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা অনেক।’
র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, দেশটির দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তিনি র্যাবকে নিয়ে প্রশংসা করেছেন। একসময় র্যাবকে নিয়ে কথা উঠত, কিন্তু এখন সেগুলো নেই।
র্যাব সদস্যদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, প্রতিটি সেক্টরেই ভালোমন্দ মানুষ থাকবে। এটা আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা প্রত্যেক সদস্যকে প্রায়ই বলি, কোনো ব্যক্তির দায় বিভাগ বা বাহিনী বহন করবে না। কোনো সদস্য অন্যায় করলে সে পার পাবে না। তার দায় তাকেই বহন করতে হবে।
পাহাড়ে জঙ্গি তৎপরতা এবং র্যাবের অভিযানের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘পাহাড়ে ট্রেনিং নেওয়া অর্ধশতাধিক জঙ্গি সদস্যকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এই জঙ্গিরা পাহাড়ে গিয়ে কেএনএফের সহায়তায় সেখানে প্রশিক্ষণ নিত। আমরা সবাইকে ধরতে কাজ করছি। তারা যে এরিয়া বেছে নিয়েছে, সেটা মিয়ানমার ও মিজোরাম সীমান্তঘেঁষা। যেকোনো অপরাধ করে তারা সহজেই যেকোনো সীমান্তে ঢুকছে। সেখানকার ভৌগোলিক কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ক্যাম্প সেখানে নেই।’
নতুন জঙ্গি সংগঠনকে অর্থায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, হরকাতুল জিহাদের নেতাদের ধরার পর জানতে পারি, তাদের টাকা আসে বিদেশ থেকে। পাহাড় থেকে যেসব জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কাছে টাকাও পাওয়া গেছে। আমরা সব বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে