Alexa
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

সেকশন

epaper
 

দোষারোপের সংস্কৃতিই অব্যাহত

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১০:১৬

দোষারোপের সংস্কৃতিই অব্যাহত বুধ ও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই বিজয় কি স্বস্তির হলো? কেন এই প্রশ্ন তার উত্তর হচ্ছে, দুই দিন ধরে গণমাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেসব খবর বের হয়েছে, তা মোটেও ইতিবাচক কিছু নয়। শুক্রবার আজকের পত্রিকায় ‘হাতাহাতিতে ভোট অর্ধেক’ শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে: ‘হট্টগোল, দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি ও উত্তেজনার মধ্যেই শেষ হলো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। আইনজীবীরা বলছেন, ভোটের উৎসবের পুরোটাই এবার কাটল উত্তেজনায়। সুপ্রিম কোর্ট বারের ইতিহাসে এমনটা আর কখনো দেখা যায়নি।’

নির্বাচনের প্রথম দিনে বুধবার ব্যাপক হট্টগোল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও আইনজীবী। এরপর বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি হয়। দিনভর চলে পাল্টাপাল্টি স্লোগান।

সুপ্রিম কোর্টে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য কোন পক্ষের দায় কম বা বেশি, তা নিয়ে বিতর্ক করা যাবে। তবে কোনো পক্ষই দায় এড়াতে পারবে না। এই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে সরকার পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়। তারপরও কেন এমন মরিয়া প্রচেষ্টা, সে প্রশ্ন করাই যায়। আইনজীবী ও দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে, যেভাবে লাঠিপেটা করা হয়েছে, তা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের কাজ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা, উসকানিমূলক কিছু করা নয়। যদি ধরে নেওয়া হয় যে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা গন্ডগোল করছিলেন, ভোটের পরিবেশ নষ্ট করেছিলেন বলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়েছে, তাহলে সাংবাদিকদের কেন লাঠিপেটা করা হলো? সাংবাদিকেরাও কি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সহযোগিতা করছিলেন?

নির্বাচন শেষ হলেও এই নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা এখনই শেষ হবে বলে মনে হয় না। সুপ্রিম কোর্টের আঙিনা থেকে তা রাজনৈতিক অঙ্গনেও বিস্তৃত হবে। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা খুশি হলেও বিএনপির সমর্থকেরা এই নির্বাচন মানবেন না। এরই মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন হবে কি না, সেটা বলা না গেলেও এটা বলা যায় যে সুপ্রিমকোর্টের ঘটনার রেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত চলবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে জিততে তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে গিয়েছে। ৪০০ জন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে জঙ্গি কায়দায় তারা হামলা পরিচালনা করেছে ভোট পণ্ড করার জন্য।

অন্যদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক ঘটনাকে ‘কলঙ্কজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। সরকার সুপ্রিম কোর্টেও নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে বলেও মির্জা ফখরুল বলেছেন।

দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো ইচ্ছা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     
     

    মারামারি-কোপাকুপি সবখানেই শফি নেতা

    ভোটের মাঠে

    বগুড়া-২: শিবগঞ্জে সাবধানী তিন দল

    আজকের রাশিফল

    চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিল করতে চিঠি

    যে ৫টি ভাষা শিখে রাখা দরকার

    আজই কি বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

    সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

    অস্তিত্ব সংকটে গড়াই নদ

    ধার করে চলছে ৭৪% গরিব: জরিপ

    শুল্কায়নে দাম বাড়ায় খেজুর খালাসে ব্যাঘাত, দাম বাড়ার শঙ্কা

    প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আ.লীগপন্থী আইনজীবীর আইনি নোটিশ