কক্সবাজারের টেকনাফে কলেজছাত্রসহ অপহৃত সাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মশিউর রহমান উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন কলেজছাত্র গিয়াস উদ্দিন (১৭), রশিদ আলম (২৬), জানে আলম, (৪৫), জাফর আলম (৪০), জাফরুল ইসলাম (৩০), ফজল করিম (৩০) ও আরিফ উল্লাহ (৩০)। এঁরা সবাই উপজেলার বাহারছড়া ইউপির পূর্ব মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় পাহাড়ে পানের বরজের জন্য কঞ্চি কাটতে বা কাঠ সংগ্রহ করতে গেলে সেখান থেকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তাঁদের অপহরণ করে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা পাহাড়ে অভিযানে যান। পরে সারা দিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধারর করা যায়নি। অবশেষে আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরে তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের প্রচুর মারধর করেছে। তাঁরা ভালো করে হাঁটতেও পারছেন না।’
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপহৃতরা ফিরেছেন।’ মুক্তিপণের বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলেও জানান তিনি।
টেকনাফ থানার বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দুটি দল প্রায় দেড় দিন অভিযান চালিয়ে ওই সাত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের কারণে অপহরণকারীরা পিছু হটে।’
মুক্তিপণের বিষয় সত্য নয় বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল যেকোনো সময় প্রেস ব্রিফিং করা হবে। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ছয় মাসে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক ৪১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা হলেও ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। যেখানে ২২ জন মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফেরত আসার তথ্য জানিয়েছিল। সর্বশেষ ৩ মার্চ দুই শিশু অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসে। এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক পাহাড়ি ঢালার ভেতর থেকে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ইজিবাইকের চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে