নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গতকাল বুধবার রাতে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা জামাই বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীর স্বামী মন্তাজ মিয়া বলেন, ‘আমার কাঁচা সবজির ব্যবসা রয়েছে। পণ্য ওজনের জন্য কিছুদিন আগে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ডিজিটাল পাল্লা কিনি। কিন্তু ২৫০ টাকা দিয়ে বাকিটা পরে দেওয়ার কথা বলি। কেনার এক দিন পর ৯ মার্চ সকালে ইমান আলী আমার দোকানে এসে বাকি টাকা চায়। আমার কাছে টাকা না থাকায় তাকে পরে টাকা দেব জানাই। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইমান আলীর ছেলে শাকিল (১৯) ও তার সহযোগীরা এসে আমাকে মারধর করে। আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর ও পেটে লাথি মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ডাক্তাররা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গর্ভের সন্তান মারা যায়।’
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের কাউকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে