ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে গল্প বলার ধরন বদলেছে। স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বেড়েছে কনটেন্ট নির্মাণের সংখ্যা। এমনটাই মনে করেন বিনোদনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। ব্যতিক্রম নন বলিউড অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারিও। এই প্ল্যাটফর্মের কারণে নিজেকে অনেকখানি বদলেছেন অদিতি। তিনি মনে করেন, ওটিটির কারণে ইন্ডাস্ট্রির সবার হাতে এখন কাজ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিনেমার পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চুটিয়ে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। অদিতি রাও বলেন, ‘ওটিটি পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবর্তন এনেছে। এখানে কাজ করার স্বাধীনতা আছে, বক্স অফিসের চাপও থাকে না। দর্শক এখন নতুন ধরনের গল্প দেখতে চায়। তাই এ মাধ্যমে প্রচুর কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। তবে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ রয়েছে। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে বলব, আমার কাজ বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ওটিটি। এর থেকেও জরুরি বিষয় হলো, ওটিটির কারণে আজ আমাদের সবার হাতে কাজ আছে।’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অদিতি অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সঞ্জয় লীলা বানসালির প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি’তে অদিতিকে দেখা গেছে যৌনকর্মীর চরিত্রে। সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। অন্যদিকে রাহুল বোসের ‘তাজ ডিভাইডেড বাই ব্লাড’ সিরিজে অদিতি অভিনয় করেছেন আনারকলি চরিত্রে। সিরিজটি দেখা যাচ্ছে জি ফাইভে। অদিতি বলেন, ‘সেলিম-আনারকলির ভালোবাসার গল্প আমার খুব প্রিয়। আনারকলির নির্ভীক আর স্বাধীনসত্তা এবং ভালোবাসার ক্ষমতা আমাকে আকৃষ্ট করে। এ চরিত্রে আগে বীণা রাই, মধুবালার মতো গুণী শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। একই চরিত্রে অভিনয় করা বেশ চ্যালেঞ্জের। প্রত্যেক পরিচালকের আলাদা পদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। আমি আমার পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী আনারকলি হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’
ওটিটিতে ব্যস্ততা বাড়লেও সিনেমার কাজ থেকে দূরে সরে যাননি অদিতি। বলিউডের চেয়ে ইদানীং দক্ষিণী সিনেমাতেই বেশি দেখা যায় তাঁকে। এ বিষয়ে অদিতি বলেন, ‘ইচ্ছা করে বলিউডের সিনেমা কমিয়ে দিয়েছি ব্যাপারটা সেরকম নয়। সিনেমা হলো পরিচালক ও লেখকের কল্পনা। আর কল্পনার কোনো ভাষা হয় না। আমি যখন সিনেমা নির্বাচন করি, তখন গল্প ও নির্মাতা দেখি। কোন ভাষায় সিনেমাটি তৈরি হবে তা নিয়ে ভাবি না।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে