তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ভোট আসলে অনেকে লাফালাফি করে, বড় বড় কথা বলে। নানা ধরনের স্লোগান দেয়, তাদের করোনার সময় দেখা যায়নি, বন্যাতেও তারা ছিল না, কোনো দুর্যোগে তাদের পাওয়া যায় না। গত ১৪টি বছর বিএনপিকেও মানুষের পাশে দেখা যায়নি।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদের উপকারভোগীদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ভিজিডি, ভিজিএফ ও ফ্যামিলি কার্ডসহ এক একটি ইউনিয়নে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে। আবার একটি বাড়ি একটি খামারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে টাকা জমায়, সরকার তার দ্বিগুণ দিচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ ফ্রি দিচ্ছে, বছরের শুরুতে বিনা পয়সায় বই দিচ্ছে। এসব দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সরকার, নৌকা প্রতীকের সরকার।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না আসলে এসব বন্ধ হয়ে যাবে। যেভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক ৯৬ সালে শেখ হাসিনা চালু করেছে বলে বিএনপি এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। ভাতার দেওয়ার ক্ষেত্রেও নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে এসব আবার চালু করেছে। তাই সাধারণ মানুষের উন্নয়ন এবং দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। আগামীতেও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’
মরিয়মনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতী, ইফতেখার হোসেন বাবুল, মুহাম্মদ আলী শাহ, জামাল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইকবাল হোসেন, চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহ, আবদুর রহিম, সিরাজুল করিম সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাতুল ইসলাম খোকন, মো. কামাল উদ্দিন, আইয়ুব রানা, জসিম উদ্দিন, মো. ইসমাঈল, ছালেহ আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. আলী শাহ, যুবলীগ নেতা মো. বাদশা, ছাত্রলীগের নেতা মো. ফারুক প্রমুখ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে