মোহাম্মদপুরের লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা ১৫ দিনের মধ্যে সরাতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র এ হুঁশিয়ারি দেন।
মেয়র বলেন, ‘খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়েছে। যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে খালের পাড়ে, এই সীমানার বাইরেও তারা অবৈধভাবে স্থাপনা করছে। তাদের আমি বলেছি, খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে আপনারা সরিয়ে নেবেন। নিজেরা অবৈধ স্থাপনা না সরালে আমরা বুলডোজার দিয়ে সেই স্থাপনা ভেঙে দেব।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর গরুর খামারি ব্যবসা করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, খামারগুলোর গো-বর্জ্যসহ অন্য সব বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে। আপনার দেখেছেন, খালটি উদ্ধারের পর আমি গত বছর এই রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। এটি আবার গো-বর্জ্য এবং অন্যান্য বর্জ্য দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। ওনারা মনে করেছেন, এভাবেই চলবে। আমার মনে হয়, যারা ব্যবসা করবেন, তাঁরা অবশ্যই পরিবেশকে মাথায় রেখে ব্যবসা করতে হবে।’
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, দয়াল হাউজিং এলাকায় কয়েকটি খামার পরিদর্শন করেন। খামারের সব বর্জ্য খালে ফেলে পানি দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি করায় একটি খামারকে মেয়রের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
বায়ুদূষণ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সিটি করপোরেশন থেকে নতুন যে টেন্ডার হবে, এই টেন্ডারের মধ্যে যেন কমপ্লায়েন্স মেইন্টেন করে—এমন একটি খাত ধরে কাজ করতে হবে। ঠিকাদারকে কমপ্লায়েন্সের জন্য তাদের বালি, পাথর ঢেকে রাখতে হবে—এ ধরনের একটা অ্যাগ্রিমেন্ট তাদের সঙ্গে আমাদের করতে হবে। বড় বড় যে কনস্ট্রাকশনগুলো হচ্ছে, রাজউকের প্রতি আহ্বান বাসাবাড়ির যে কনস্ট্রাকশনগুলো হচ্ছে, সেগুলোর জন্য একটি নোটিশ দেয় এবং মনিটরিং করে। আমাদের সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের যে ঠিকাদারগুলো আছে, তাদের আমরা মনিটরিং করব।’
পরিদর্শন শেষে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধার কথা ও সমস্যা জানতে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বসিলা কমিউনিটি সেন্টারে একটি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আলম প্রমুখ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে