তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৮২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে উদ্ধারকারীদের ধারণা। খবর বিবিসি
এর মধ্যে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স বলছে, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে শত শত পরিবার আটকে আছে। আমাদের টিমগুলো কঠিন পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। শতশত ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন হয়, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছিল। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরই আরেকটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। পরের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিস্তান এলাকায়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।
এদিকে মর্মান্তিক এই ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। হতাহতদের স্মরণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে দেখা দেওয়া চরম মানবিক সংকট মোকাবিলায় তুরস্ক ও সিরিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইসরায়েল, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে