রাজশাহীর বাঘায় চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে সুদীপ্ত হালদার শাওন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে মারা যায় সে। পরে আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে আড়ানি শ্মশানে মরদেহের দাহ করা হয়েছে।
নিহত সুদীপ্ত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভার চকসিংগা মহল্লার শুকুমার হালদারের ছেলে। সে আড়ানি সরকারি মনোমোহীনি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
জানা গেছে, সুদীপ্ত বাবা-মায়ের সঙ্গে নাটোরের লালপুর উপজেলার তারাপুর গ্রামে মামা সেতু হালদারের বিয়ের দাওয়াত খেতে যায়। গতকাল দুপুরে দাওয়াত খেয়ে আব্দুলপুর রেলস্টেশনের করিমপুর রেলগেটে যায় সে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী বাংলাবান্দা ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে যায় সুদীপ্ত। এ সময় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয় সুদীপ্ত। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মারা যায় সুদীপ্ত।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা শুকুমার হালদার জানান, গতকাল বিকেলে ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে ধাক্কা লেগে তাঁর ছেলে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রামেক হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় সুদীপ্ত। আজ সকালে মরদেহের দাফন করা হয়েছে।
নিহতের বাবা বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘গতকাল দুপুরে মামা বিয়ের দাওয়াত খাওয়া শেষে আমার ছেলে টাকা চায়। টাকা দিলেই মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনবে বলে তাকে টাকা দিইনি। টাকা দিলে হয়তো বাড়িতে থাকত। তাহলে ছেলেকে হারাতে হতো না।’
সুদীপ্ত’র মা শান্তনা হালদার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর আগে মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার কথা বলে বের হয় সুদীপ্ত। পরে আমরা দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পারি।’
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাজিউর রহমান বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে