আল্লাহ তাআলা ব্যবসা-বাণিজ্য হালাল করেছেন। যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরাই ব্যবসায়ী। নবী-রাসুল, সাহাবি, তাবিয়িসহ অনেকেই ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। ব্যবসা মহৎ পেশা; কিন্তু তা অবশ্যই নির্ভেজাল ও ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। কোনোভাবেই ব্যবসাকে কলুষিত করা যাবে না।
যাঁরা সত্য ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যবসা করেন, তাঁরা যেমন মানুষের কাছে সম্মানিত, তেমনি আল্লাহর কাছেও খুবই মর্যাদাবান। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীরা আখিরাতে নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে থাকবেন।’ (তিরমিজি)।
অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাশর হবে পাপী লোকজনের সঙ্গে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যবসায়ীরা আল্লাহর ভয় নিয়ে ব্যবসা করেছে, সত্য বলেছে এবং মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করেছে, তারা ছাড়া অন্য ব্যবসায়ীরা কিয়ামতের দিন পাপী হয়ে পুনরুত্থিত হবে।’ (তিরমিজি)।
আজকাল দেখা যায়, বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন। ফলে ক্রেতারা নিরুপায় হয়ে পড়েন এবং প্রয়োজন অনুসারে ক্রয় করতে সক্ষম হন না। এটি এক ধরনের জুলুম। তাই ব্যবসায়ীদের উচিত উদার হওয়া এবং জনকল্যাণের কথা ভেবে স্বাভাবিক মুনাফাটাই অর্জন করা। কারণ প্রয়োজনের তাগিদেই সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে এসে পণ্য কেনেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁদের প্রতি কঠোর হওয়া ব্যবসায়ীদের জন্য সমীচীন নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির ওপর রহম করুন, যে বেচাকেনা ও ঋণ পরিশোধে উদার হয়।’ (বুখারি) তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ ওই ব্যবসায়ীকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যে বেচাকেনায় সহজতা অবলম্বন করে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কিছু ব্যবসায়ী সঠিক ওজনে কিনে নেয় এবং কম দিয়ে বিক্রি করে, তারা-ই ক্ষতিগ্রস্ত। (সুরা তাতফিফ/১-৩)
ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান,অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে