অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শীতের দিনগুলোতে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে চোখ শুষ্ক হয়ে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
শুষ্ক চোখের সমস্যায় বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। শুষ্ক চোখের সমস্যা হলে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি ও জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। জোরালো আলো সহ্য করতে না পারা, ঝাপসা দেখা, লাল হওয়া কিংবা চোখের ভেতরে ও বাইরে পিচ্ছিল আঠালো পদার্থ তৈরি হতে পারে। তবে কয়েকটি জিনিস বিবেচনায় রাখলে এ সমস্যা হবে না বা হলেও তা থেকে স্বস্তি মিলতে পারে।
- চোখ সব সময় পরিষ্কার রাখুন। চোখে ধুলোবালু জমতে দেবেন না। বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা পানিতে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
- ঘন ঘন চোখ ঘষা এড়িয়ে চলুন। কারণ, এটি আপনার চোখের লেন্স বা কর্নিয়ার ক্ষতি করতে পারে। শীতকালে এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
- শরীরে পানির ঘাটতি শুষ্ক চোখের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই চোখ আর্দ্র রাখতে এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। চাইলে তরল স্যুপও খেতে পারেন।
- কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে শুষ্ক চোখে সমস্যা বাড়তে পারে। দিনে পাঁচ-ছয় ঘণ্টার বেশি চোখে কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকা উচিত নয়।
- দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপসহ যেকোনো পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ২০ মিনিট পরপর
২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরত্বে তাকান। - ওমেগা থ্রি-সমৃদ্ধ খাবার চোখের জন্য খুবই উপকারী। কারণ, এর ফলে চোখে বেশি বেশি জলীয় পদার্থ তৈরি হয় এবং ড্রাই আই বা চোখের শুষ্কতার প্রবণতা কমে যায়। সমুদ্রের তৈলাক্ত মাছে প্রচুর ওমেগা-৩ পাবেন।
- শীতকালেও নিয়মিত সানগ্লাস পরুন। সানগ্লাসের ব্যবহার কেবল গরমকালের জন্য নয়, বরং শীতকালে এর গুরুত্ব আরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডার দিনগুলোতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
- ড্রাই আইয়ের সমস্যা থাকলে চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
- ঘরের ভেতরে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এয়ার হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
- ধূমপান শুষ্ক চোখের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। দীর্ঘস্থায়ী ধূমপায়ীদের শুষ্ক চোখের প্রবণতা বেশি থাকে।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে