ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর বাউন্ডারি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মহানগরীর নতুন বাজার এলাকার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মো. শাকিল (২৫) ও নওমহল এলাকার জাহিদ হাসানের ছেলে রিমন হাসান (২৪)। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাদের হাসপাতালে ভর্তি করান। আহতরা হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর বাউন্ডারি রোড এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান এবং মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহম্মেদ অনি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আহত দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহম্মেদ অনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বা মহানগর ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীর কারো সঙ্গে কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহানগর যুবলীগের নেতা জয়ের সঙ্গে আগামী শনিবার জমি নিয়ে দরবার হওয়ার কথা ছিল। এসব বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। এ সময় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অনি ৫০ থেকে ৬০ জনকে নিয়ে জয়ের ওপর হামলা চালায়। পরে জয় ও আমাদের ১০০ থেকে ১৫০ জন তাদের ধাওয়া করে এবং পাথর মারার ঘটনা ঘটে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিত স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে