আওয়ামী লীগ রেশমি মিঠাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা ও মহানগর বিএনপি। কর্মসূচি থেকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দ্রব্যমূল্য, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের বাড়াবাড়ি ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আওয়ামী পুলিশ লীগ, আওয়ামী ডিবি লীগ হবেন না। দেশের পরিচয়ে নিজেদের পরিচিত করুন। আজকের এই দিনকে অনেকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস বললেও আমি বলি রাজতন্ত্র কায়েম দিবস। বাকশাল এক ব্যক্তির ওপর সব ক্ষমতা দিয়েছিল, নিজ দল আওয়ামী লীগের দাফন হয়েছিল, এই আওয়ামী লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতাও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁর অনুমতি পেয়েই মৃত আওয়ামী লীগকে জীবিত করা হয়েছিল।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু মাঠে খেলতে গিয়ে দেখি, আওয়ামী লীগ নেই। আছে র্যাব, পুলিশ, ডিবি। পুলিশ, র্যাব বাদ দিয়ে খেলতে নামেন, দেখেন খেলায় কে জেতে। লুডু খেলার একটা নিয়ম আছে। ছয় একবার উঠলে আবার মারতে হয়। আওয়ামী লীগ অলরেডি তিন ছয় মেরে ফেলেছে। তিন ছক্কায় তারা পোক্কা হয়ে গেছে। ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলেন। আরে, আপনার দলের লোকেরাই তো আপনার কথা শোনে না। আপনার আপন ভাই বলেছে—ওবায়দুল কাদেরকে এই মাটিতে পা রাখতে দেব না। মাতব্বরি করতে আসবেন না। আপনাদের দিন শেষ। আওয়ামী লীগ হলো রেশমি মিঠাই। চাপ দিলে দেখবেন এতটুকু হয়ে যাবে।’
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সমস্ত নেতা-কর্মী যখন কারাগারে, তখন আওয়ামী লীগ পুলিশ বাহিনী নিয়ে মাঠে নেমেছে। এর থেকে আপনারা আর উঠতে পারবেন না। আমরা বলেছিলাম—ইভিএম মানি না। আজ সেটা মানতে বাধ্য হয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি পদে অনেকের নাম শুনছি, সেখানে একটি নাম উল্লেখযোগ্য। যার ঘাড়ে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করেছিলেন, সেই বিচারপতি নাকি রাষ্ট্রপতি হবে। আমরা এটা মানব না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেনের খান, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে