কক্সবাজারের রামুতে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় ভিজিডির বরাদ্দ নিয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। এ সময় চেয়ারম্যানের ইটভাটার শ্রমিকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভিজিডির বরাদ্দ নিয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপির সঙ্গে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টোর তর্ক হয়। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লাঠিসোঁটা নিয়ে উপস্থিত হন শতাধিক শ্রমিক। তাঁরা সবাই ভুট্টোর মালিকানাধীন ইটভাটার শ্রমিক। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন থেকে আমি তিনজনের নাম ভিজিডির জন্য দিয়েছিলাম। সেগুলো চেয়ারম্যান ভুট্টো কেটে দিয়েছেন। ওই নামগুলো কেটে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং গালিগালাজ করেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় বাগ্বিতণ্ডা স্বাভাবিক বিষয়। সংসদেও এ রকম হয়। তবে বাইরে থেকে লোক এনে পরিষদে জড়ো করাটা মোটেও কাম্য নয়।
তবে ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টোর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, ‘ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে আমরা উপজেলা পরিষদে যাই। গিয়ে কিছু বহিরাগত লোকও দেখতে পাই এবং তাদের সরিয়ে দিই। কোনো ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা কাম্য নয়। ভিজিডির বরাদ্দ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আরও বিস্তারিত জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে