সাভারে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ভ্যানচালককে মারধরের ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ রিকশা ও ভ্যানচালকেরা। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের করা অবরোধে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাখানেক গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ ছাড়া ঢাকা ইপিজেডের সামনের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়।
অভিযুক্ত ও আহত সাভার ট্রাফিক পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘অবৈধ ব্যাটারিচালিত ভ্যান হওয়ায় আমি ভ্যানচালককে থামার ইঙ্গিত দেই। পরে সে না থেমে আমাকে ভ্যান দিয়ে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি ধাওয়া করে তাকে আটক করি। তখন তাকে ধরার সময় ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেসের সঙ্গে তার মাথায় আঘাত লেগে রক্ত বের হয়। দুপুর আড়াই টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৫টায় এসে ট্রাফিক বক্সে হামলা চালায়। আমাকে মারধর করে আমার পুলিশ ব্যাজ ও জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে।’
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভ্যানচালককে মারধর করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এ সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচার দাবি করে তাঁরা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ বলেন, ট্রাফিক ও হাইওয়ে থানা-পুলিশ প্রায় সময়েই তাঁদের ওপর নির্যাতন করে। নানা অজুহাতে তাঁদের রিকশা-ভ্যান আটকে রেকার বিল আদায় করে। তাঁরা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ভ্যানচালকের নাম নাজমুল হোসেন। আহত ভ্যানচালককে উদ্ধার করে স্থানীয় শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা হাসপাতালে নিয়ে যায় আশুলিয়া থানা-পুলিশ।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নাজমুল হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাত লেগে চামড়া ছিঁড়ে গেছে। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাঁকে ভর্তি রাখা হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভারের ট্রাফিক পরিদর্শক (এডমিন) আব্দুস সালাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে রিকশা চালকদের সঙ্গে সমস্যার কথা শুনেছি। কিন্তু আমি দূরে থাকায় এখনো বিস্তারিত জানি না। নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে ইপিজেড ট্রাফিক বক্সে এসআই হেলাল উদ্দিনের দায়িত্বে থাকার কথা।’
পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্য আহতের বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘এ রকম কিছু এখনো শুনিনি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত পরে জানাব।’
এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়া থানা-পুলিশ বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে