লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. জুয়েল (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। নিহত হারুনুর রশিদের (৩২) স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী (ভায়রা ভাই) তিনি।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দাদালবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের নেয়ামত উল্যা বেপারি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই বাড়ির মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি সকালে রায়পুর উপজেলার দণি চরবংশী ইউনিয়নের হাজীমারা মুনছুর দরবেশের বাড়ি থেকে হারুনুর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটি নিহত হারুনের শ্বশুর বাড়ি। তিনি সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের গোড়া হামিদের বাড়ির আব্দুল মান্নানের ছেলে। ওই ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া ও লক্ষ্মীপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস হত্যা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে হারুন ও বৈশাখীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার দিন বিকেলে হারুন শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একঘরে ঘুমান। রাত পৌনে ৪টার সময় তাঁর শাশুড়ি খুকি বেগম হারুনের বাবার মোবাইলে কল করে হারুনের মৃত্যুর খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা হারুনকে ঘরের খাটের ওপর মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাঁর গলায় ও কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। হারুনকে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা শেষে লাশ সুপারি গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবার।
এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বোন জ্যোৎস্না আক্তার (২৮)। এ ঘটনায় আটক থাকা স্ত্রী ও শাশুড়িকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। মামলার আসামিরা হলেন, নিহতের স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী (১৯), স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী মো. জুয়েল (৩০) ও শাশুড়ি খুকি বেগম (৪৮)। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে