যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহন বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাদিয়া নিহতের পর বাসচালক ও তার সহকারী ঢাকা ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
উপপুলিশ কমিশনার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাদিয়ার নিহতের ঘটনার পরপরই ভাটারা থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি জব্দ করেছেন। অপরদিকে, নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করেন।
উপপুলিশ কমিশনার আরও বলেন, গতকাল রোববার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই বাসের চালককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিল নিহতের সহপাঠীরা। ঘটনার পরপরই ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে মিরপুর শাহ আলী থানার প্রিয়াঙ্কা হাউজিং এলাকা থেকে বাসচালক লিটন ও তার সহকারী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।
ঘটনার সময়ের চিত্র তুলে ধরে ডিসি বলেন, গতকাল ওই শিক্ষার্থী নাদিয়া ও মেহেদী নামে তাঁর এক বন্ধু মোটরসাইকেলে করে উত্তরা থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে আসে। পরে ফিউচার পার্ক থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ভিক্টর পরিবহনের ওই বাসটি তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নাদিয়া ছিটকে সড়কে পড়ে যায়। পরে বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নাদিয়া।
কিছুদিন পরপর বাসের রেষারেষিতে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের প্রাণ যায়। বাসচালকদের এমন প্রতিযোগিতা বন্ধে কোনো কার্যকর ভূমিকা নেবেন কিনা তা জানতে চাইলে ডিসি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সড়কে আইন মানার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা যারা পথচারী ও যাত্রী আছি আমাদেরও চলাফেরার সময় সতর্কভাবে আইন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ভিক্টর পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সুপ্রভাত পরিবহনের নাম পরিবর্তন করে রাস্তায় তাদের বাস চালানো হচ্ছে। এ বিষয় জানতে চাইলে ডিসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে ছিল চালক ও তাঁর সহকারী। তাঁরা ঢাকা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে