গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগারে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দণ্ডিত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আজ রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া কয়েদির নাম শুক্কুর (৪৩)। তিনি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার লালনগর গ্রামের খায়ের উদ্দিনের ছেলে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানা এলাকায় ২০০৪ সালে সংগঠিত একটি দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় শুক্কুর জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনি আসামি ছিলেন। এ মামলায় কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
জেল সুপার আরও জানান, দণ্ডিত হওয়ার পর তাঁকে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ওই আসামির প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেল কোড অনুসারে রোববার রাত ১০টায় ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজয়ান আহামেদ, গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুর রহমান, সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, জেলার লুৎফর রহমানসহ অন্যান্যরা।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে