চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী উপজেলার সিডিএ আবাসিক এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে মোহাম্মদ কায়েস (৩৩) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কর্ণফুলী থানা-পুলিশ। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার সকালে কর্ণফুলী উপজেলার সিডিএ আবাসিক এলাকায় রাস্তার পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে, নিহত কায়েস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কায়েস পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার দৌলত খাঁ মুন্দার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে। তাঁর সংসারে মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, বিভিন্ন সময়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে নিজেকে পরিচিত দিতেন।
নিহতের স্ত্রী শাহনাজ আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সে (কায়েস) প্রায় সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে থাকত। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে একটা কল আসে। মোবাইলে কথা বলার পরই ঘর থেকে বের হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে আমি ফোন ধরলে আমাকে বকাবকি করত। সে জন্য ফোন আমি রিসিভ করতাম না। ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমার স্বামীকে মেরে ফেলছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
নিহতের মা মরিয়ম বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলছে। তাঁর সাথে কারও শত্রুতা নাই। কী জন্য যে, তাকে মেরে ফেলছে আল্লাহ জানে।’
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত যুবক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করত। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘নিহতের পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—খুন করে লাশটি এখানে কেউ ফেলে গেছে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে