লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দুর্বৃত্তের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলী (৬৮) নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যুর পর আজ শনিবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি শহরের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে থেকে মিছিল বেরিয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে আগের স্থানে ফিরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং তাঁদের সন্তানেরা এম ওয়াজেদ আলীর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বক্তব্য দেন।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিজ বাসার গেটের ১০ গজ দূরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাটগ্রাম মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) এম ওয়াজেদ আলী দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন। আজ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়। দুই দফা জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাটগ্রাম পৌরসভা এলাকার নিউ পূর্বপাড়ার নিজ বাসায় ফিরছিলেন এম ওয়াজেদ আলী। এ সময় বাসার গেটের সামনে দুর্বৃত্তরা তাঁর পথরোধ করে মাথা, গলা ও কাঁধে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যান। শোরগোল শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে ওয়াজেদ আলীকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের টংটিংডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘বাসার গেট থেকে ১০ গজ দূরে দুর্বৃত্তের হামলায় আমার মামা এম ওয়াজেদ আলী নিহত হয়েছেন। ঘটনা তদন্তের পর দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করছি।’
ঘটনার পর শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে