গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে গভীর নলকূপের চারপাশে বেড়া দিয়ে সেচ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে নলকূপের আওতায় থাকা প্রায় ১৩০ বিঘা জমির বোরো চাষ।
পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম ডন এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করেন নলকূপ অপারেটর আব্দুস সালাম।
সরেজমিনে আজ শনিবার সকালে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার জন্য বসানো হয়েছে একটি গভীর নলকূপ। সেটির চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশেই কয়েকজন কৃষক জমিতে বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বসে রয়েছেন।
স্থানীয় কৃষক আশরাফ আলী মোজাহার মিয়া ও আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকদের সেচ সুবিধার লক্ষ্যে গোপালপুর গ্রামে সরকারি সম্পত্তিতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে সাদুল্লাপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেখানে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পান গ্রামের মৃত তছির উদ্দিন আকন্দের ছেলে আব্দুল সালাম। ফলে দীর্ঘ বছর ধরে সেচ সুবিধা পাচ্ছিলেন কৃষকেরা।
অপরদিকে, ওই নলকূপ ঘেঁষে একই গ্রামের মৃত খেতাব উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম ডনের জমি রয়েছে। অপারেটর সালামের সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে গভীর নলকূপের চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন শহিদুল। ফলে বোরো চাষ সেচ কার্যক্রম আটকে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন অপারেটর সালামসহ শতাধিক কৃষকেরা। এরই মধ্যে বোরো আবাদের জন্য কৃষকেরা প্রায় ১৩০ বিঘা জমি প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু সেচ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চারা রোপণের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
ভোগান্তির বিষয়ে নলকূপ অপারেটর আব্দুল সালাম বলেন, ‘নলকূপের দুই শতক জায়গা সরকারের। শহিদুল ইসলাম সঙ্গে আমার পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছে। এরই জেরে নলকূপের চারপাশে বেড়া দিয়ে সেচকাজের বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ফলে কৃষকের জমিতে সেচ দিতে পারছি না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নলকূপের জমিসহ পাশের জমি আমার। আমি আমার জমিতে প্রয়োজনে বেড়া দিয়েছি। এতে সেচ কার্যক্রম চলবে কিনা চলবে না সেটি আমার দেখার বিষয় নয়।’
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, নলকূপের চারপাশে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে