সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল বাদশা (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত রাসেল বাদশা উপজেলার মাগুরডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য মো. মইনুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বিয়ের প্রলোভনে ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেন রাসেল। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ফলে বিয়ের দাবিতে গতকাল বিকেলে রাসেলের বাড়িতে অনশনে বসে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী। এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতে তালা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বলে, ‘প্রায় এক বছর আগে রাসেল বাদশা সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্তমানে আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমার গর্ভে দুই মাসের সন্তান রয়েছে। আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েও বিয়ে করছে না। তাই আমি তাঁর বাড়িতে এসে অনশনে বসেছি। পরে পুলিশ এলে বিষয়টি তাদের জানিয়েছি। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় আমার মা থানায় মামলা দায়ের করেন।’
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেলের বাবা মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে যদি দোষী হয় তাহলে আমি তাদের বিয়ে ব্যবস্থা করব।’
এ বিষয়ে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম বলেন, বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে