প্রেমিকের সন্ধানে গাজীপুর থেকে খুলনায় আসা তরুণী (১৮) চার দিন পর পরিবারের সঙ্গে ফিরে গেছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গতকাল বৃহস্পতিবার বাবা–মা তাঁর সন্ধান পান। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সোনাডাঙ্গা বাবা–মার সঙ্গে ফিরে যান তিনি।
গতকাল বিকেলে খুলনা নগরীর রূপসা এলাকা থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খুলনা জেলা পুলিশের সদস্য এসএম আকবার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৮ / ১৯ বছরের একটি মেয়েকে নগরীর রূপসা এলাকার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সামনে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি আমাদের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। আমরা মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে দিই। পরে রাত ১১টার দিকে মেয়েটির অভিভাবকেরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরা রাতে খুলনায় পৌঁছান। এরপর আজ হাসপাতাল থেকে মেয়েটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
পুলিশ সদস্য আরও বলেন, ‘মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তির সময় বারবার “ইমু” নাম ধরে চিৎকার করছিলেন। মেয়েটির কাছ থেকে ওই ছেলের ফোন নম্বর লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। ওই ফোন নম্বরে ছেলেটির সঙ্গে কথা বলা হযেছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ছেলেটির বাড়ি সোনাডাঙ্গা থানার গোবরচাকা এলাকায়।’
মেয়েটির বাবা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মো. ফজলুল হক। তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি মেয়েটি তাঁর কর্মস্থল বসুন্ধরা সিটির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। এরপর আর ফিরেননি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে থানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় খুলনায় তাঁকে পাওযা গেছে বলে জানতে পারেন। এরপর খুলনায় এসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি দেখতে পান।
এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার বা তাঁকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কোনো লিখিত তথ্য তাঁর কাছে নেই। তিনি ফোনে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন।
খুলনা সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কোন স্থান থেকে ঠিকানাবিহীন কেউ উদ্ধার হলে বা পাওয়া গেলে নিয়ম অনুযায়ি থানায় তথ্য দিতে হবে। অন্য এলাকার হলে তাঁকে সেই থানার মাধ্যমে হস্তান্তর করতে হয়। মেয়েটির ক্ষেত্রে সেটি কেউ করেনি।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে