বিপিএলে হার দিয়ে শুরুটা হলেও এখন দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে ফরচুন বরিশাল। টুর্নামেন্টে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছে দলটি। ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে আজ ১৩ রানে জিতেছে বরিশাল। অন্যদিকে জয় দিয়ে আসর শুরু করা ঢাকা টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছে।
প্রতি ম্যাচেই ঢাকা ডমিনেটরসের মাথা ব্যথার নাম টপ অর্ডার। তবু নাসির হোসেনের বিশ্বাস ছিল, তাঁরা ঘুরে দাঁড়াবেন। তবে গতকালও ম্যাচে কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি ঢাকার টপ অর্ডার। ৫৯ রানে নেই হয়ে গিয়েছিল ৩ উইকেট।
এখান থেকে আরেকবার নাসিরের কাঁধে দলকে টেনে তোলার ভার বর্তে। এক পাশে ঢাকার অধিনায়ককে সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনের দারুণ জুটি ঢাকাকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। তবে ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে করিম জানাতের বলে মিঠুন আউট হলে ফরচুন বরিশালের ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছোঁয়া হয়নি ঢাকার। দুজনের জুটির রান ৮৯। ৪৭ রান করেন মিঠুন, ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির। এতে করে চট্টগ্রাম পর্বে চার ম্যাচের চারটিতেই জিতল বরিশাল।
ফরচুন বরিশালের মিডল অর্ডারে ফাটল ধরানো চ্যালেঞ্জই হয়ে উঠেছে। কেউ না কেউ ম্যাচের যেকোনো মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। পরশু সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ। গতকাল সাকিবের ইনিংস শেষ হয়েছে ৩০ রানে। তবে ঠিকই দাঁড়িয়ে গেলেন ইফতিখার। এবার তাঁর সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৮৯ রানে ৫ উইকেট হারায় বরিশাল। ১৭ রানে ২ উইকেটের পর ৬৩ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট তুলে নেয় ঢাকা।
প্রথম দুই উইকেটে বোলারের চেয়ে তাসকিন আহমেদের কৃতিত্ব বেশি। ৯ বলের ব্যবধানে দুটো দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন। পরের ২ উইকেটই নাসির হোসেনের। ব্যাটিংয়ে তো দলকে টানছেন, বোলিংয়েও নাসির দলের ত্রাণকর্তা। সাকিবকে বোল্ড করে ফেরান মুক্তার আলী। এরপর বরিশাল স্কোরবোর্ডে যোগ করে আরও ৮৪ রান। ইফতিখার ও মাহমুদউল্লাহর ষষ্ঠ উইকেট জুটি থেকে এসেছে এই রান। ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে তাঁর রান ৫৬। মাহমুদউল্লাহর বলে-রানে প্রায় সমান ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে