চট্টগ্রামে একাদশে ভর্তিতে শেষ ধাপের আবেদনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৮ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো কলেজ পায়নি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছে ৯১ জন।
এ ছাড়া শেষ ধাপের ফল প্রকাশের পর চট্টগ্রামের একই সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফলে নতুন করে ৮ হাজার ৬ জন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।
গত বুধবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড এই ফল প্রকাশ করলেও বিষয়টি আজ শুক্রবার জানা যায়।
এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ মতো আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ের আবেদনে কমসংখ্যক কলেজ এবং প্রথম সারির কলেজগুলোই পছন্দ দেওয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এসব শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি।
জানা গেছে, সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ১৮ হাজার ৬৮৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৮ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে শেষ ধাপ পর্যন্ত ১৮ হাজার ২ জন ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। তবে জিপিএ-৫ পেয়েও ৯১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য তালিকায় কলেজ পায়নি।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৩ জন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকায় মনোনীতদের মধ্যে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়ন করে ১ লাখ ১২ হাজার ১১৫ জন। প্রকাশিত তৃতীয় ধাপের ফলাফলে মনোনীত হয়েছে ৮ হাজার ছয়জন। সব মিলিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ১২১ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
এদিকে একাদশে ভর্তিতে তৃতীয় বা শেষ দফায় ফল প্রকাশের পর নতুন আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। অর্থাৎ কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থীর আপাতত নতুন আবেদনের সুযোগ নেই। ফলে এখন আন্তশিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাদের।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যক্ষ জাহেদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও আন্তবোর্ড সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে মোট আবেদনকারীর তুলনায় আসনসংখ্যা বেশি থাকায় সব শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে