ফজরের নামাজ শেষে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দেশি মুসল্লির পাশাপাশি বিদেশি মুসল্লিরাও অবস্থান নিচ্ছেন ময়দানে। এদের মধ্যে ইসরায়েলের ৪১ জন মুসল্লি আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মো. সায়েম।
মো. সায়েম বলেন, ‘৪১ জন ইসরায়েলি মুসল্লি ময়দানে আছেন। আগত মুসল্লিরা সরকারের বিশেষ ব্যবস্থায় ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই দ্বৈত নাগরিক। ময়দানের উত্তর-পশ্চিমাংশে বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইসরায়েলি মুসল্লিরা অবস্থান করছেন। এ ছাড়া পাঁচজন ফিলিস্তিনি মুসল্লি রয়েছেন ময়দানে। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ময়দানে ৫ হাজার ৫৫৯ জন বিদেশি মুসল্লি উপস্থিত হয়েছে বলে জানা গেছে।’
উগান্ডা থেকে প্রথমবার ইজতেমা ময়দানে এসেছেন আলী মোহাম্মদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ময়দানে এসে পৌঁছেছি। পরিবেশ খুব ভালো লাগছে। তবে বাংলাদেশে এসে কোনো সিম কার্ড পাইনি। ফোন করতে পারছি না।’
ভারতের গুজরাট থেকে ময়দানে এসেছেন আহসান উল্লাহ। ঠান্ডা ও কাশিজনিত রোগ দেখা দেওয়ায় বিদেশি খিত্তার পাশেই টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্থাপন করা অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা নিতে এসে বলেন, ‘ময়দানের পাশে চিকিৎসার ব্যবস্থাটি ভালো হয়েছে। চিকিৎসা শেষে ওষুধ পেয়েছি।’
ইজতেমা ময়দানে ট্যুরিস্ট পুলিশের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ইজতেমায় আসা বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ট্যুরিস্ট সিম কার্ডের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মুসল্লিরা আমাদের কাছে সিম কার্ড চাইছেন। আমরা মুসল্লিদের এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ময়দান ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ রয়েছে। ইজতেমা এলাকায় প্রায় ১ হাজার ১০০ ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সড়কে কাজ করছেন।
ইসরায়েলের মুসল্লিদের ইজতেমায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল থেকে আগত মুসল্লিরা ময়দানে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা ভিন্নভাবে আমাদের দেশে এসেছেন। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। তাঁরা ধর্মীয় কাজে অংশ নিয়েছেন।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে