সাভার এলাকার গাঙচিল বাহিনীর অন্যতম দলনেতা পেশাদার ডাকাত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিন ওরফে লেদুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশ্যান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হাউজবিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। পরে আজ শুক্রবার সকালে লেদুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪-এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।
মাজহারুল ইসলাম জানান, ২০০০ সাল থেকে সাভার থানার আমিনবাজার ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাঙচিল বাহিনীর, যার প্রধান ছিলেন আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। সাভারের পানিবেষ্টিত বিস্তর এলাকাকে আস্তানা বানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নামকরণ হয় গাঙচিল বাহিনী। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে ব্যাপক পরিসরে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিল এই বাহিনী। আনোয়ার হোসেন আনার নিহতের পর গাঙচিল বাহিনী কয়েকটি গ্রুপে ভেঙে যায়। পরে এর একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন রুহুল আমিন ওরফে লেদু। তাঁর নেতৃত্বে এই গ্রুপের সদস্যরা আমিনবাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম চালায়। ২০১২ সালে শাহ আলী থানা এলাকায় বশির উদ্দীন বসু হত্যা মামলায় আদালত লেদুকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
মাজহারুল ইসলাম আরও জানান, লেদু গ্রেপ্তার হওয়ার পর বশির হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকাসহ আরও পাঁচটি ডাকাতি মামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশে গাজীপুর, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, রামপুরাসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। এই সময়ে ক্রমাগত তাঁর পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিলেন।
গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের কর্মকর্তা।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে