চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানা থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সাত সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ বলেন, হাজতখানা থেকে একাধিক মামলার আসামি শামসুল হক বাচ্চুর (৬০) পালানোর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি দায়িত্বে অবহেলা করা পুলিশ সদস্যদের নাম প্রকাশ করেনি।
৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম আদালতের জেলা সদর কোর্ট হাজতখানার পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একাধিক মামলার আসামি শামসুল হক বাচ্চু। হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া বাচ্চুকে ১৩ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
৪ জানুয়ারি একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে বাচ্চুকে ১ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে চন্দনাইশ থানা-পুলিশ। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই দিন অন্যান্য আসামির সঙ্গে বাচ্চুকেও প্রিজন ভ্যানে করে জেলহাজতে নেওয়ার সময় হাতকড়াসহ তিনি পালিয়ে যান।
এ ছাড়া ৬ জানুয়ারি জেলা সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় পলাতক বাচ্চুকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
থানার নথি ও বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করে পুলিশ জানায়, বাচ্চুর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর কক্সবাজার চকরিয়া থানা, ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানা, একই বছরের ২৭ জুলাই শেরেবাংলা নগর থানায় এবং ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর শ্যামপুর থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে