আরবি তওবা শব্দের অর্থ প্রত্যাবর্তন করা, স্বীকার করা, অনুশোচনা করা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় তওবা হলো, অতীতের গুনাহের জন্য অনুশোচনা করা, ফের তা না করার দৃঢ় সংকল্প করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তওবার গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘আর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা চাও, এরপর তাঁর দিকেই ফিরে এসো। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অত্যন্ত মেহেরবান ও অতি দয়াময়।’ (সুরা হুদ: ৯০)
আল্লাহ তাআলা ইমানদারদের দুনিয়া-আখেরাতে সফলতা লাভের জন্য তওবার নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা নুর: ৩১)
খাঁটি তওবা করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহর কাছে তওবা করো, খাঁটি তওবা।’ (সুরা তাহরিম: ৮)
আল্লাহ তাআলা তওবার দোয়া এভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, ‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ইমান এনেছি, কাজেই আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিন আর আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬)
তওবার মাধ্যমে অফুরন্ত সুখ অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যদি তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো এরপর তাঁরই কাছে তওবা করো, তাহলে তিনি তোমাদের অতি উত্তম সামগ্রী উপভোগ করতে দেবেন।’ (সুরা হুদ: ৩)
আল্লাহ তওবাকারীর গুনাহকে ভালো কাজে পরিবর্তন করে দেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘কিন্তু যারা তাওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎ কর্ম করে, আল্লাহ তাদের পাপকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করেন।’ (সুরা ফুরকান: ৭০)
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে