আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে যোগ দিতে এরই মধ্যে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আসতে শুরু করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীদের মিছিল থেকে দেওয়া হচ্ছে নানা স্লোগান। তাঁদের হাতে রয়েছে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড।
দুপুরের পরে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুর ইসলাম চৌধুরী। তিনিই সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন।
এদিকে জনসভাস্থলে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে ঢোকার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা ভাগ ভাগ হয়েছে মিছিল নিয়ে পুরো কক্সবাজার শহর প্রদক্ষিণ করেছেন।
এবারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কক্সবাজার সিটি করপোরেশন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজকে হাসপাতালে রূপান্তর, মহেশখালী-কক্সবাজার সংযোগ সেতুসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হবে। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল কক্সবাজারবাসী। তবে এখন সেই রোহিঙ্গারা বিষফোড়ায় পরিণত হওয়ায় এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানেরও দাবি জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা শুধু স্টেডিয়ামেই হবে না, গোটা কক্সবাজার শহরে ছড়িয়ে যাবে।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বাকি এক বছরের বেশি। গত মাসে যশোরে জনসভা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জনসভা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর পর জনসভা করতে আজ বুধবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারে গিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করেন। দুপুরে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে