প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর কক্সবাজারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মী ও সমর্থকের মধ্যে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়া উদ্বোধন করবেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার শহরের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে রাখা হয়েছে পর্যটননগরী কক্সবাজারকে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরক্ত পুলিশ। পুলিশের ৪ হাজারেরও বেশি সদস্যের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এই পর্যটননগরীর নিরাপত্তায় কাজ করছে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিরাপদ করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ সদস্য আনা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পুলিশের পক্ষে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। কক্সবাজার এখন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাবলয়ে।’
সমাবেশ নিয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম জানান, সমাবেশে ৫ লাখ লোকের সমাগমের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। এরই মধ্যে জেলার পাড়া-মহল্লার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসতে শুরু করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই জনসভা নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উজ্জীবিত করবে বলেও মনে করেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আলাদা দরদ রয়েছে। তিনি এই জেলায় অনেক বেশি উন্নয়ন করেছেন। এখানে যত মেগা প্রকল্প আছে তা দেশের কোথাও নেই। এবারের জনসভায়ও প্রধানমন্ত্রী আরও নতুন কিছু উপহার দেবেন।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে