আমরা অতি উৎসাহী হব না, মাথা নতও করব না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রথম সিরিজের ফাইনাল খেলা দশ তারিখ। দ্বিতীয় সিরিজের খেলা ১০ তারিখের পর আপনাদের জানিয়ে দেব। খামাখা আগ বাড়িয়ে পা লাগাইয়েন না।’
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, ‘আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ যে আপনারা আপনাদের বাহিনী দিয়ে আমাদের সাধারণ সভাকে অসাধারণ করে দিয়েছেন।’
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আজ সময়ের দাবি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এটা যদি খেলা হয়ে থাকে তাহলে ৯টি খেলা আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আগামী ১০ তারিখেও আমরা সফল হব। প্রথম খেলা চট্টগ্রামে হেরে গেলেন, এরপর ময়মনসিংহ, খুলনায় রাত বারোটায় জনসভা শুরু করি। সাধারণ একটা জনসভায় এত বাঁধা। ৯টা খেলায়ই সব দিয়ে চেষ্টা করলেন কিন্তু তারা পরাস্ত হলেন।
আন্দোলনের দায়িত্ব যখন জনগণ নেয়, তখন দল মুখ ঘুরায় নেয় না বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নাই যেখান থেকে ১০ তারিখে মানুষ ঢাকায় আসবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো সন্ত্রাস নৈরাজ্য করব না। কিন্তু সরকার করবে। তাদের দলগুলো ভাগ করে নিচ্ছে কে কোন অপকর্ম করবে। ৯টা জেলায় বাস বন্ধ করল কিন্তু ঢাকায় করল না। কারণ রাস্তায় রাস্তায় বাস থামাবে, চেক করবে। সময় নিবে। সাদা পোশাকে পুলিশিই হয়তো ওই বাসে, গাড়িতে আগুন দেবে। আর সরকার বলবে বিএনপি আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অবস্থা ছিল বর্তমানে এমন অবস্থা আমাদের এখনে বিরাজ করছে ৷ ১০ তারিখে একটা পেঁয়াজ, একটা বেগুন, একটা খালি তেলের বোতল হাতের নিয়ে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার মাছ মাংস খেতে পারে না। যার যখন ইচ্ছা দাম বাড়াচ্ছে আর ভণ্ড মন্ত্রীরা বলছে ব্যবস্থা নিব।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে